অক্সিজেন প্ল্যান্টে এয়ার সেপারেশন কলাম থেকে বিস্ফোরণ: তদন্ত কমিটির প্রাথমিক ধারণা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সীমা অক্সিজেন লিমিটেড প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ রোববার প্রথম দিন ঘটনাস্থল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। প্রাথমিকভাবে তাঁরা মনে করছেন, প্ল্যান্টে এয়ার সেপারেশন কলাম থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত।
চমেক হাসপাতালের আহতদের সঙ্গে কথা বলার পর রোববার সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞসহ কমিটির সদস্যরা আজকে দুপুরে মিটিং করি। তারপর আমরা একটি সামারি করি। মূলত কী কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, সম্ভাব্য সব কারণ সামনে রেখে তদন্তকাজ শুরু করি।’
রাকিব হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থল সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছি। সেখানকার প্রধান ও কর্মকর্তা এবং আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে যাওয়ার পর আরও নতুন কিছু আমাদের সামনে আসে। ইতিমধ্যে আমরা বিশেষজ্ঞ টিম ও কমিটির সদস্যরা বসে পর্যালোচনা করেছি। আশা করছি ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব। কী কারণে এ ঘটনা ঘটল, ভবিষ্যতে যাতে আর এ রকম ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পরামর্শসহ পূর্ণাঙ্গ একটি প্রতিবেদন তৈরি করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, অক্সিজেন প্ল্যান্টের এয়ার সেপারেশন কলাম থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি আন্ডার ইনভেস্টিগেশন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সুদীপ্ত সরকারসহ কমিটির সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল (কেশবপুর) এলাকায় এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ২০ জন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।