সাংবাদিকদের ওপর হামলায় ব্যবস্থা নিন

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩১

দেশের কোনো নদীই ভালো নেই। কক্সবাজারের বাঁকখালী দেখে কেউ বিশ্বাসই করতে চাইবে না একটা সময়, মানে আশির দশকে এ নদী দিয়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল করত। জাহাজ চলত মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা পর্যন্তও।


কিন্তু মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে দখল, নদীসংলগ্ন প্যারাবন উজাড়, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে নদীটি হত্যাই করা হয়েছে বলা যায়। নদীটিকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।


২০১৪ সালে আদালত বাঁকখালীকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে নির্দেশনাও দেন। কিন্তু কোনোভাবে এ নির্দেশনা কার্যকর হচ্ছিল না। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এত দিনের গাফিলতি থেকে বের হয়ে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। এটি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক ঘটনা। তবে উচ্ছেদ অভিযানকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই দখলদারেরা যে বেপরোয়া আচরণ দেখিয়েছেন, তাতে আমরা হতবাক হই। দখলদারদের হামলার শিকার হন কয়েকজন সাংবাদিক।


প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, গত মঙ্গলবার সকালে নদীর কস্তুরাঘাট অংশে অভিযান শুরু করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিএম) নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী। সন্ধ্যা পর্যন্ত আড়াই শতাধিক অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। তবে দুপুরের দিকে সাংবাদিকেরা অভিযানের সংবাদ সংগ্রহ, ভিডিও চিত্র ধারণ ও ছবি তুলতে গেলে তাঁদের ওপর হামলা চালান দখলদারেরা।


হামলার শিকার সাংবাদিকেরা হলেন ডিবিসি নিউজ ও বিডিনিউজের জেলা প্রতিনিধি শংকর বড়ুয়া রুমি, আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মাঈন উদ্দিন হাসান শাহেদ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন ক্যামেরাপারসন। ১০-১২ জনের দখলদারের নেতৃত্ব দেন আবদুল খালেক নামের আরেক দখলদার ও তাঁর ছেলে।


বাঁকখালী নদী দখলদারদের শীর্ষ তালিকায় আছেন আবদুল খালেক। তাঁর বিরুদ্ধে নদী দখল, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিকদের হামলার সময় তাঁর হাতে পিস্তলও দেখা গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও