কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দুর্নীতি এখন ওপর মহলে নয়, তৃণমূলেও পৌঁছেছে: মেনন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:০২

ক্ষমতাসীন জোটের শরিক হলেও সেই জোট এবং সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করে আবারও আলোচনায় এসেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তিনি। পাঁচবারের সংসদ সদস্য। ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য। জোট রাজনীতি, আগামী নির্বাচন, বর্তমান সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ নিয়ে প্রথম আলোর মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন। 


অতীতে আপনারা নিজ দলের প্রতীক হাতুড়ি এবং আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করেছেন। আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নেবেন না বলে আপনার বক্তব্যেই এসেছে। আসলে আপনাদের সিদ্ধান্তটা কী?


রাশেদ খান মেনন: ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালে ওয়ার্কার্স পার্টির জাতীয় কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আমরা নিজস্ব প্রতীকে ভোট করব। এখনো এ সিদ্ধান্তে অটল আছি। গত কয়েকটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়েছে, নিজেদের প্রতীকে ভোট করাই ভালো। আর আমরা সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের শক্তি সঞ্চয় করেছি। নিজের শক্তিতেই এগিয়ে যেতে চাই। এ ছাড়া ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শরিকদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। নিজস্ব প্রতীকে ভোট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এটাও একটা কারণ।


নৌকা প্রতীক কি জনগণের কাছে কিছুটা আবেদন হারিয়েছে? নাকি অন্য কোনো কারণে নৌকা নিতে চাইছেন না?


রাশেদ খান মেনন: নৌকা প্রতীক আবেদন হারিয়েছে কি না, সেটা আমি বলতে পারব না। তবে নৌকায় ভোট করে অতীতে কিছু বাস্তব সমস্যার অভিজ্ঞতা হয়েছে। যেমন, আমরা সংসদে অনেক সময় যে কথাগুলো বলতে চাই, নৌকা প্রতীকে ভোট করার কারণে তা পারি না। এ ছাড়া ১৪ দলে জোটের যে চর্চা হওয়ার কথা ছিল, সেটা হয়নি, এখনো হচ্ছে না। ওপরের দিকে আমরা বৈঠক করি, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু মাঠপর্যায়ে তা পৌঁছায় না। অর্থাৎ নিচের দিকে জোটের অস্তিত্ব নেই। ফলে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও মাঠপর্যায়ে কোনো কাজে আসে না। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর উদাহরণ। আমরা সংসদে মানুষের কথা অকপটে বলতে চাই। নিজের শক্তির ওপর দাঁড়াতে চাই।


ঠাকুরগাঁওয়ে উপনির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এই হারের কারণ কী?


রাশেদ খান মেনন: আমাদের প্রার্থী মনোনয়ন ভুল ছিল। করোনার সময় দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাও তৈরি হয়েছে। তবে জোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগ আমাদের আসন ছেড়ে দিয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ঠাকুরগাঁও আওয়ামী লীগকে চিঠি দিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষে কাজ করতে বলেছেন। কিন্তু মাঠপর্যায়ে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়ে নিজেই তো বলেছেন যে আওয়ামী লীগের নেতাদের সহায়তায় তিনি জিতেছেন।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও