‘একুশ’ নিয়ে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মিত হোক
আসাদগেট নিউকলোনিতে একটি ছোট শহীদ মিনার ছিল। প্রায় ৪৫ বছর পরেও চোখ বন্ধ করলে আমি সেই শহীদ মিনারকেই দেখি। কলোনির বিভিন্ন গাছ থেকে ফুল চুরি করে এই বেদিতে অর্পণ করতাম। বাগানের মালিকরা জানতেন, কিন্তু কখনো বাধা দেননি। ছোট শহীদ মিনারটিতে অনুষ্ঠান হতো, আমরা গান গাইতাম, কবিতা আবৃত্তি করতাম। সেখানে কলোনি ছাড়াও লালমাটিয়া, মোহাম্মদপুর থেকে দর্শক, শ্রোতারাও আসতেন, ফুল দিতেন।
আবার কখনো কখনো ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ জন শিশু-কিশোর গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে, গামছায় ঢোল বেঁধে, সাদা কাপড় পরে, ফুল হাতে নিয়ে খালি পায়ে চলে যেতাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে—আসাদগেট থেকে আজিমপুর। কণ্ঠে ধ্বনিত হতো 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি'। সেটাই ছিল আমাদের প্রভাতফেরির মিছিল।