রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন কমেছে বিদেশি শিক্ষার্থী?
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা দিন দিন কমছে। গত পাঁচ বছরে ভর্তির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত ছিল। চলতি শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা শূন্যের কোঠায় দাঁড়িয়েছে। কারণ হিসেবে ইংরেজিতে পাঠদান না করা, সেশনজট, আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রমের অনুপস্থিতি, বই-নোটসহ বেশির ভাগ শিক্ষা উপকরণ বাংলা ভাষায় হওয়াকে দায়ী করেছেন তারা। এ ছাড়া ডরমিটরির শিক্ষার পরিবেশ নিয়েও অভিযোগ আছে তাদের।
রাবির শিক্ষকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর অনুপাত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহের কারণ খুঁজে বেরা করা। প্রয়োজনে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দরকার।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমির শাখা সূত্রে জানা যায়, প্রথম ২০১৪-১৫ সেশনে মাত্র দুজন নেপালি শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর আগমন শুরু হয়। এর আগে বিদেশি কোনও শিক্ষার্থী ভর্তির তথ্য নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে। পরের বছর ২০১৫-১৬ সেশনে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় তিনে। ২০১৭ সালে জর্ডান, সোমালিয়া ও নেপাল থেকে ভর্তি হন ১০ শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালে নেপাল ও জর্ডান থেকে আট শিক্ষার্থী ভর্তি হন। তবে সময়ের ব্যবধানে মাত্র একজন ছাড়া কোর্স শেষ করেননি কেউ। ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি একসঙ্গে পাঁচ জন নেপালি শিক্ষার্থী কোর্স শেষ না করে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন।