'গুম' হওয়া রবীন্দ্রনাথের ফিরে আসা

সমকাল আমীন আল রশীদ প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:০৪

পেরেকবিদ্ধ 'গীতাঞ্জলি' হাতে দাঁড়িয়ে আছেন রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর মুখ স্কচটেপ দিয়ে বন্ধ; কথা বলতে পারছেন না। মঙ্গলবার এ রকম একটি অস্থায়ী ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে রাজু ভাস্কর্যের পাশে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেটি হাওয়া। এই ঘটনার পরে সেখানে একটি ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়েছিল- 'গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ!' শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আবর্জনার স্তূপ থেকে ভাস্কর্যের খণ্ডিত মস্তক উদ্ধার করা হয়। শনিবার দেখা গেল, একই স্থানে পুরোনো মস্তক যুক্ত করে নতুন ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। (সমকাল অনলাইন, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)।


সংবাদমাধ্যম বলছে, বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থীর উদ্যোগে রাজু ভাস্কর্যের পাশে রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল। এর কাছেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা; যে মেলায় এবার বেশ কয়েকটি বই এবং একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। নতুন করে আলোচনায় এসেছে নাগরিকের বাকস্বাধীনতা এবং লেখকের লেখার স্বাধীনতার প্রসঙ্গটিও। এসব বাস্তবতা মাথায় রেখেই সম্ভবত ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল।


অবশ্য বাংলাদেশে মুক্তচিন্তা ও বাকস্বাধীনতার তর্ক নতুন নয়। বাকস্বাধীনতার সীমারেখা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিল্পীর স্বাধীনতার বিষয়টিও। বিশেষ করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'শনিবার বিকেল' সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার বিষয় নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে খবর আসে- প্রায় চার বছর সেন্সর বোর্ডের ঝুলিতে 'নিষিদ্ধ' হয়ে পড়ে থাকার পর অবশেষে মুক্তির সম্ভাবনা মিলেছে 'শনিবার বিকেল'-এর। কিন্তু এই সংবাদের পর আর কোনো অগ্রগতি নেই। সিনেমাটি এখনও ছাড়পত্র পায়নি। এ নিয়ে ফারুকী নিজেও বিভিন্ন সময় তাঁর ফেসবুক ওয়ালে ক্ষোভ, অসন্তোষ ও হতাশার কথা লিখেছেন। দেশের বরেণ্য লেখক ও শিল্পীর অনেকেই শনিবার বিকেল মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে লিখেছেন। কিন্তু 'শনিবার বিকেল' শনির দশা কাটাতে পারেনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও