করোনার প্রভাবে এক প্রজন্মের তরুণ চরম ক্ষতির মুখে

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৪৬

বিশ্বজুড়ে দরিদ্রতা হ্রাসের প্রচেষ্টায় বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা কোভিড-১৯। মানবেতিহাসে ভয়াবহতম অভূতপূর্ব এই মহামারী শুরুর বছরেই নতুন করে সাত কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। করোনার আঘাতে প্রতিটি দেশ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। বিশ্ব মন্দায় পড়েছে, ২০২০ সালে গড় জিডিপি ৪ দশমিক ৩ শতাংশ হারে কমেছে।


কিন্তু অর্থনীতির এইসব পরিসংখ্যানের আড়ালে চাপা পড়ে গেছে অপরিমেয় মানবিক ভোগান্তি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বিশ্বজুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দেড় কোটির বেশি প্রাণহানি হয়েছে, যার পেছনে মহামারীকে কারণ হিসেবে ধরা হয়। আর তাই মানব পুঁজির উপর করোনার নেতিবাচক প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলির তরুণ প্রজন্ম।


কোভিডের সময় ২৫ বছরের কম বয়সী তরুণদের ডেটা বিশ্লেষণে তৈরি ‘করোনার প্রভাবে মানবপুঁজির ক্ষয় ও করণীয়’ বিষয়ে সদ্য প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে এই পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, পরিস্থিতি উত্তরণের পথ না বের করা হলে মানুষের পুঁজি সঞ্চয়, উপার্জন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়বে। সমাধান না হলে সময়ের সঙ্গে সমস্যা আরও বাড়বে।


বিশ্বব্যাংক বলছে, জীবনচক্রের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মানব পুঁজিতে ব্যাপক আঘাত হেনেছে কোভিড-১৯। এর প্রভাবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে লাখ লাখ শিশু ও তরুণের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই প্রজন্মের সম্ভাব্য জীবনকালের উপার্জন থেকে মোট ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারীর ফলে লাখ লাখ শিশু টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিচর্যায়ও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। একাধিক দেশে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুরা প্রাথমিক ভাষা ও সাক্ষরতার ৩৪ শতাংশের বেশি এবং গণিতে শিক্ষার ২৯ শতাংশের বেশি ভুলে গেছে। স্কুল বন্ধ এবং অকার্যকর দূরবর্তী শিক্ষার কারণে শিক্ষার্থীরা শেখার হার কমে গেছে এবং তারা যা শিখেছিল তাও ভুলে গেছে। গড়ে স্কুল বন্ধের প্রতি ৩০ দিনের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩২ দিনের শিক্ষা হারিয়েছে।


মহামারীর আগে কর্মরত থাকা ৪ কোটি মানুষ ২০২১ সালের শেষে চাকরি হারিয়েছে। যুব বেকারত্বের প্রবণতা বেড়েছে। ২০২১ সালে একাধিক দেশে ২৫ শতাংশ তরুণ শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণের বাইরে রয়ে যায়।


গবেষণায় পাওয়া তথ্য বলছে, কোভিডের ধাক্কার কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর আজকের শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ গড় বার্ষিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত হারাতে পারে। বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের এই প্রজন্মের সম্ভাব্য জীবনকালের উপার্জন থেকে মোট ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। উপার্জনের ক্ষতির অর্থ হতে পারে নিম্ন উৎপাদনশীলতা, বৃহত্তর অসমতা ও আগামী কয়েক দশক ধরে সামাজিক অস্থিরতা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও