পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও বিতর্ক থেকে প্রত্যাহার

বার্তা২৪ ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৩০

স্কুলের পাঠ্যবইয়ে বিজ্ঞানী চার্লস রবার্ট ডারউইনের বিবর্তনবাদ নিয়ে চারদিকে দারুন বিতর্ক ও নানা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘ একমাস ১০ দিন ধরে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে নানা ভুল-ভ্রান্তি ও এই বিতর্কিত মতবাদ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কমতি নেই, শেষও নেই। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্কুলের পাঠ্যবই বিতর্ক নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে চারদিক। এরই মাঝে গত ১০ ফেব্রুয়ারি নানা বিতর্কের মুখে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’বই দুটির পাঠদান প্রত্যাহার করা হয়েছে।


এছাড়া আরও দুটি বই সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- ঐ দুই শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’ও ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ।’এ দুটি বইয়ের কিছু অধ্যায় সংশোধন করা হবে।


বলা হয়েছে এর অনেক কারণ। তন্মধ্যে দুটি বড় কারণ হলো- প্রথমত: এই বইগুলোতে অনেক বানান, শব্দ ও বাক্যগত ভুল রয়েছে। দ্বিতীয়ত: বিবর্তনবাদ ও মানুষের উৎপত্তি নিয়ে যেসকল কথা রয়েছে তাতে অনেকগুলো ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে এই মতবাদের ব্যাখ্যা সাংঘর্ষিক। যথার্থ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষণ ছাড়া শুধু প্রকৃতি পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে গৃহীত এমন একটি বিতর্কিত মতবাদ দেশের কোমলমতি বাচ্চাদের সার্বিক চিন্তাচেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জ্ঞান বিকাশে উপযুক্ত কি-না তা গভীরভাবে যাচাই না করে তাদের পাঠ্যবইয়ে অর্ন্তভূক্তিকরণ, ইত্যাদি।


অনেক পরিশ্রমের পরও কোন বই বা যে কোন লেখার মধ্যে ভুল থেকে যেতে পারে। সে জন্য লেখক-প্রকাশক-কে শুরুতেই ‘মুদ্রণ প্রমাদ বা ভুলত্রুটি হলে পাঠক ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা করি’-ইত্যাদি লিখে আগেভাগেই ক্ষমা চেয়ে নেয়ার রীতি বেশ প্রচলিত রয়েছে। পরবর্তী সংস্করণে মূল্যবান মতামতগুলো সংশোধিত আকারে প্রকাশ করার কথা ও বেশ প্রচলিত। এ নিয়ে লেখক, প্রকাশক বা পাঠকের কোন বড় দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কথা তেমন শোনা যায় না।


কিন্তু এ বছরের স্কুলের পাঠ্যবই নিয়ে বিতর্কের শুরুটা ভিন্নরকম। এর আলোচনা, সমালোচনার রূপ, কৌশল ও গভীরতা ভিন্ন জায়গায়। মুদ্রণ বা বানান বিভ্রান্তি থেকে সেটা অনেক অনেক গভীরে ঢুকে মানুষের মনন ও ধর্মীয় বিশ্বাসের অঙ্গনে বিস্তার লাভ করেছে। শিগগিরই সেটা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যপকতা লাভ করা সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে বিতর্কিত বই তুলে নেয়া বা বাতিল করা অথবা যথযথভাবে সংশোধন করে পুনরায় সরবরাহ করার বিকল্প নেই। সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে হয়তো এনসিটিবি বই দুটির পাঠদান প্রত্যাহার করেছেন।


বর্তমানে পাঠ্যবইয়ে এসব দিক নিয়ে চারদিকে এত বিতর্ক চলছে যেটার গভীরে গিয়ে খেই ধরে পর্যালোচনা করা খুব কঠিন। কারণ, ধর্ম ও বিজ্ঞান দুটোই আমার উপরেও প্রভাব বিস্তার করে আছে। তদুপরি সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে কিছুটা আলোকপাত করার সাহস করছি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও