মেট্রোরেলের কার্ড দিয়ে চলা যাবে বাসেও
বর্তমানে মেট্রোরেলের যাত্রীরা যে র্যাপিড পাস বা কার্ড নিয়ে চলাচল করছেন, তা দিয়েই বাসে চলাচল করা যাবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির আজ ২৬ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ও মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন ডিএনসিসি মেয়র।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে যাত্রীরা একটি কার্ড দিয়েই মেট্রোরেল ও বাসে চলাচল করতে পারেন। যেগুলো ওয়ান কার্ড বা অক্টোপাস কার্ড নামে পরিচিত। তেমনি দেশের মেট্রোরেলের যাত্রীরা যে র্যাপিড পাস বা কার্ড ব্যবহার করছেন তা দিয়েই নগর পরিবহনের সব বাসে চলতে পারবেন; এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে আজকের মিটিংয়ে। একটি কার্ডেই নগরবাসী মেট্রোরেল ও ঢাকা নগর পরিবহনে চলতে পারবেন।’
মেয়র আরও বলেন, ‘মেট্রোরেলের যাত্রীদের সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমরা ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২৪ নম্বর যাত্রাপথে ঘাটারচর-বসিলা-মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-শিশুমেলা-আগারগাঁও-মিরপুর ১০ দিয়ে কালসি ফ্লাইওভার হয়ে এয়ারপোর্ট-জসিমউদ্দীন আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত বাস চলবে। আর ২৫ নম্বর যাত্রাপথে ঘাটারচর-বসিলা-মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড-আসাদগেট-মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে খামারবাড়ি হয়ে বিজয় সরণি দিয়ে বের হয়ে জাহাঙ্গীর গেইট-শাহিন স্কুল-মহাখালি-কাকলি-বনানী উড়ালসেতু হয়ে রিজেন্সি-এয়ারপোর্ট-জসিমউদ্দীন-আব্দুল্লাহপুর হয়ে চলাচল করবে। যাত্রীরা যেন বাস থেকে নেমেই মেট্রোরেলে উঠতে পারেন এবং মেট্রোরেল থেকে নেমে বাস ব্যবহার করতে পারেন—সেটি বিবেচনা করেই নতুন এই দুই রুট চালু করা হবে। এই দুই রুটে প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাস চলবে।’