সাত মাসে রিজার্ভ থেকে রেকর্ড ৯২০ কোটি ডলার বিক্রি
চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৯২০ কোটি বা ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ইতিহাসে পুরো অর্থবছরেও রিজার্ভ থেকে এত পরিমাণ ডলার বিক্রি হয়নি। এর আগে গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের পুরো সময় রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বা ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সমসাময়িক বিষয়ে নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য জানান। তিনি জানান, দেশের মধ্যে ডলারের তীব্র সংকট চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
ডলারের এ সংকট কাটাতে উচ্চাভিলাষী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিতের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপও নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও সংকট কাটছে না। এ কারণে জরুরি আমদানি দায় মেটাতেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সহায়য়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘তবুও আটকে থাকছে কোটি কোটি টাকার পণ্য। ডলার সংকটে আমদানিকারকদের চাহিদা মেটাতে পারছে না অধিকাংশ ব্যাংক।
এসব সমস্যার সমাধান দিতে অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৯২০ কোটি বা ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।’ জানান মুখপাত্র। এদিকে বৈদেশিক মুদ্ররি মজুত থেকে ডলার সহায়তা দেওয়ার কারণে রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ার পরও রিজার্ভ কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করেছে। এর ফলে দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ কমে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে অবস্থান করছে। অন্যদিকে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রিতে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৭৬২ কোটি বা ৭.৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল। তার আগের ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজার থেকে উল্টো প্রায় ৮০০ কোটি বা ৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর চলতি অর্থবছরের সাত মাসেই ৯২০ কোটি ডলার বা ৯.২০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। তবে রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলে আরও বাড়াতে হবে, পাশাপাশি রপ্তানিও বাড়াতে পারলে দেশের ডলার সংকট কমে আসবে। অন্যদিকে সদ্যবিদায়ী মাস জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি মাসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।