বড় পর্দায় নিজেকে দেখার অপেক্ষায় আছি
পশ্চিমবঙ্গের ‘আরো এক পৃথিবী’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশের তাসনিয়া ফারিণের। সিনেমাটি বানিয়েছেন অতনু ঘোষ। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে। সিনেমার প্রচারে অংশ নিতে ফারিণ এখন কলকাতায়। সিনেমা মুক্তি ও সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে ফারিণের সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
নিজের প্রথম সিনেমার প্রচারে কলকাতায় গিয়েছেন। কেমন চলছে প্রচারণা?
১৯ জানুয়ারি কলকাতায় এসেছি। বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। সিনেমাটি নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলছি। ইন্টারভিউ দিচ্ছি। ফটোশুটও করলাম। নিজের প্রথম সিনেমার প্রচার, তাও আবার আরেক দেশে। একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা আমার জন্য।
কলকাতার দর্শকের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। গতকাল টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম। তাঁদের রেসপন্স দেখে আমি অভিভূত। তাঁদের কাছ থেকে জানতে পারলাম সিনেমাটির জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁরাও।
বড় পর্দায় অভিষেক, শেষ মুহূর্তে কেমন অনুভূতি হচ্ছে?
এক্সাইটমেন্ট ও নার্ভাস দুটোই ফিল হচ্ছে। গত বছর যখন সিনেমা মুক্তির তারিখ দেওয়া হলো, তখন থেকেই এমন লাগছে। প্রথমবার মুক্তির তারিখ পিছিয়ে গেল। এবার নার্ভাসনেসটা একটু বেড়ে গেছে। আর বড় পর্দায় প্রথমবার নিজেকে দেখার অপেক্ষায় আছি। বড় পর্দায় নিজেকে দেখে কেমন ফিল হয় সেই অভিজ্ঞতার অপেক্ষায় আছি।
সিনেমায় আপনার চরিত্রটি কেমন?
আমার চরিত্রের নাম প্রতীক্ষা। ছোট থেকেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে সে। খুবই অন্তর্মুখী চরিত্র। পরিবার, সমাজের নানা ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে জীবনযুদ্ধে এগিয়ে চলে সে। বিস্তারিত পর্দায় দেখতে পাবেন।
এতে আপনার সহ-অভিনেতা ছিলেন কৌশিক গাঙ্গুলী, অনিন্দিতা রায় চৌধুরীসহ অনেকে। তাঁদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
এককথায় আমি মুগ্ধ। তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তাঁরা এত বিনয়ী! আমি বয়সে আর কাজের অভিজ্ঞতায় অনেক ছোট, তারপরও আমাকে প্রচুর সময় দিতেন। পুরো টিমের সবাই খুব কো-অপারেটিভ। যে কারণে আমার একবারও মনে হয়নি আমি বাইরের কোনো ইউনিটের সঙ্গে কাজ করছি। অতনু দাদা তাঁর কাজের ব্যাপারে ভীষণ স্পষ্ট। তাই তিনি কী চান আর কী করতে হবে—সবই প্রস্তুত থাকত।