ঠাণ্ডাজনিত রোগীর ৯০ শতাংশকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে
‘তিন দিন হয় নাতিডা হাসপাতালে ভর্তি। শ্বাস নিতে পারতেছিল না। কাশির সঙ্গে নাক দিয়া পানি পড়তেছিল। ডাক্তার জানাইল নিউমোনিয়া হইছে। রাত থাইকা শ্বাসকষ্ট বাড়ছে। তাই অক্সিজেন দিয়া রাখছে।’
গতকাল শুক্রবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত দুই মাস বয়সী শিশু আলিফের দুরবস্থার কথা এভাবে জানান তার নানি আমেনা বেগম। ঢাকার শিশু হাসপাতালের ১১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি শিশুটি। হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা, মুখে অক্সিজেন মাস্ক। শ্বাসকষ্ট যে প্রবল, তা স্পষ্ট।
পাশের শয্যায় একটু পর পর কান্না করছে শিশু আহাদ। ছয় মাসের এই শিশুও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। হাত দিয়ে বারবার মুখের অক্সিজেন মাস্ক সরানোর চেষ্টা করছে সে। মা বাধা দেওয়ায় সে কান্না করছে। শুধু আলিফ বা আহাদ নয়, হাসপাতালটির প্রতিটি ওয়ার্ডে ভর্তি ৬০ শতাংশ রোগী ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ রোগীকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।