বিচারক-আইনজীবী একটুতেই বিরোধ

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৫৭

বিচারকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে ক্ষমা করা হবে না বলে বারবার সতর্ক করছেন হাইকোর্ট। খুলনায় এক বিচারকের সঙ্গে তিন আইনজীবীর অসদাচরণের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এমন সতর্কবার্তা দেন। সেই সঙ্গে সব জেলা আইনজীবী সমিতিকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আলাদা ঘটনায় পিরোজপুরের সরকারি কৌঁসুলিকে (পিপি) তলব করেও সতর্ক করা হয়। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গত ২৭ ডিসেম্বর জেলা জজদের এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘কোনো অন্যায় দাবির কাছে মাথা নত করা যাবে না।’ কোনো বিচারকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনা ঘটলে তা জানাতে বলেন তিনি।


এরপরও আদালতকক্ষে বিচারকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ আসছে সুপ্রিম কোর্টে। এতে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের। ক্ষুণ্ন হচ্ছে বিচার বিভাগের মর্যাদাও। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় তিন আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করার পরও আদালত বর্জন করে চলেছেন আইনজীবীরা। ওই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনসহ বিচারকদের কয়েকটি সংগঠন। বিচার বিভাগীয় অনেক কর্মকর্তা ফেসবুকে তাঁদের প্রোফাইলে কালো ছবি দিয়েছেন।


তিন আইনজীবীকে তলব করার পরও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক বিচারকের বিরুদ্ধে অশালীন স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ২১ জন আইনজীবীকে ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট হাজির হয়ে তাঁদের আচরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


এসব ঘটনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন অনেক মিডিয়া আছে, সামাজিক মাধ্যমেও প্রচারিত হয়; সে জন্য অনেকেই জানে। এসব ঘটনা আগেও হতো। তখন মিডিয়া জানত না, গুরুত্ব পেত না। এখন যেখানেই হচ্ছে, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিচারকের বিচার করার স্বাধীনতা আছে। বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবীসমাজ দুর্ব্যবহার করে না; এক-দুজন যারা করে, তাদের আমরা প্রশ্রয় দিই না। বার ও বেঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকলে যাদের মামলা, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হন।’


আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ অবশ্য বলেন, রুল জারি হওয়ায় এটি বিচারাধীন বিষয়। আর বিচারাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও