কফির ভালোমন্দ

সমকাল প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:০৭

কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। অতিরিক্ত ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করে বিধায় শীতপ্রধান দেশগুলোর প্রধান পানীয় হিসেবে কফি অত্যন্ত জনপ্রিয়। সবাই কমবেশি কফি পান করলেও বেশিরভাগ মানুষই কফি পানের নিয়ম জানেন না। কখন কফি পান করলে শরীরের জন্য তা উপকার হবে এবং অতিরিক্ত কফি পান করলে শরীরের কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে, তা অনেকের অজানা।


আপনি যদি শরীরের প্রতি যত্নশীল হন তাহলে সঠিক নিয়মে কফি পান আপনার শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, ৪০০ গ্রাম ক্যাফেইন আমাদের শরীরের জন্য ভালো। তিন থেকে চার কাপ কফি পান করলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমে। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত কফি পানে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। কফি টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত কফি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এ ছাড়া মস্তিস্কের সুরক্ষা ও স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে কফি অসাধারণ ভূমিকা পালন করে।


আলঝেইমার ডিজঅর্ডার নামে মস্তিস্কের এক ধরনের ক্ষয়রোধ অসুখে কফি ওষুধের মতো কাজ করে। আলঝেইমার হলে মাথাব্যথা ও হতাশা তীব্র হয়, স্মৃতিশক্তি লোপ পায় ও মস্তিস্কের কিছু অংশ সংকুচিত হতে শুরু করে। ফলে কফিতে থাকা ক্যাফেইন এই সমস্যা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।


যাঁরা দুর্বলতায় ভোগেন, কফি পান করলে তাঁদের এনার্জি বাড়ে। এক কাপ কফি উদ্বেগ, বিষণ্ণতা ও মুড সুয়িং দূর করে শরীরকে মুহূর্তেই চাঙ্গা করে তোলে। শরীরচর্চা কিংবা হাঁটতে যাওয়ার আগে এক কাপ কফি আপনাকে এক্সট্রা এনার্জি দেবে। কফিতে থাকা ক্লোরোজেনিক এসিড ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। ক্লোরোজেনিক এসিড শরীরে ঢুকে ফ্যাট বার্নিং করে; ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।


অনেকে আছেন যাঁরা রাত জেগে পড়াশোনা কিংবা কাজ করেন। এক কাপ কফি তাঁদের রাত জাগতে সাহায্য করে। সন্ধ্যা কিংবা রাতে এক কাপ কফি আপনাকে রাত জাগতে ও পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। অনেক সময় কফি বানিয়ে রেখে অনেকে কাজের চাপে কফিতে চুমুক দিতে ভুলে যান। ফলে মগে রাখা কফি ঠান্ডা হয়ে যায়। এই ঠান্ডা কফি আপনি চাইলে ইনডোর প্লান্টের টবে ঢেলে দিতে পারেন। কফিতে থাকা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ গাছের জন্য উপকারী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও