কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সমাজতন্ত্র কি আবার ফিরছে

দেশ রূপান্তর হরিপদ দত্ত প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৩২

মানুষ নিজেই তার সভ্যতার কারিগর। হতে পারে সে মানুষ মেধাবী, প্রাজ্ঞ। এটাও হতে পারে সে গবেট, মূর্খ, শারীরিক শ্রম ছাড়া যার কিছুই নেই। কিন্তু সভ্যতা নির্মাণে দুজনের অবদানই সমান। কেননা সভ্যতা নির্মাণে একটিকে বাদ রেখে অন্যটির পূর্ণতা আসে না। শ্রমজীবী মানুষ আর মার্কস-লেনিন এই দুই মিলেই সভ্যতা। একজন পথ চিনিয়েছেন, অন্যজন পথে পা রেখে লড়াই করেছেন। শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সৈন্যদলের প্রথম এবং প্রধান সেনানায়ক হচ্ছেন লেনিন। তিনি কেবল শোষণমুক্ত সমাজের জন্যই লড়াই করেননি, লড়াই করেছেন রোগ-ব্যাধিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যও। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কেবলমাত্র অর্থনৈতিক আর রাজনৈতিক সাম্যই মানবসমাজে মুক্তি এনে দিতে পারে না। অবশ্যই দরকার ব্যাধিমুক্ত সমাজ। অর্জিত সমাজতন্ত্রকে সুরক্ষা দিতে গেলে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই গণস্বাস্থ্য নীতি নির্ধারণও জরুরি। সোভিয়েত জনগণের জন্য তা-ই করেছিলেন তিনি। জাতীয় সম্পদের বড় একটি অংশ চিকিৎসা গবেষণার কাজে লাগানোর পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির আধুনিক পরিকাঠামোও নির্মাণ করেন। সমাজের ও রাষ্ট্রের কাছে জনগণের প্রায় নিখরচায় সেবা পাওয়ার অধিকার আছে, এই বাস্তবতার প্রথম রূপকার লেনিন। কেবল তাই নয়, সারা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের বিপ্লবী রাজনীতিবিদদের আপন দেশে নিয়ে এসে দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসাদানের নীতিও তিনি সোভিয়েত রাষ্ট্রের দায় হিসেবে গ্রহণ করেন। সবকিছুই ছিল নিখরচায়। সে এক স্বপ্নের পৃথিবী ছিল। আজ সবই ইতিহাস।


ইতিহাস প্রমাণ করেছে যে প্রাণঘাতী সংক্রামক ব্যাধির স্থানান্তর বা মাইগ্রেশন ঘটিয়েছে মানুষ, প্রকৃতি নয়। গোত্র যুদ্ধ বা খাদ্যাভাবের কারণে যাযাবর গোত্রগুলো পরিভ্রমণে বেরিয়ে যেত প্রাচীন যুগ থেকে। সঙ্গে নিয়ে যেত ব্যাধি। সেই ব্যাধি আবার তারা বয়ে নিয়ে আসত বনজঙ্গল থেকে। খাদ্যের খোঁজে, শিকার সন্ধানে মানুষ বনে যেত, নানা প্রজাতির জীবজন্তুর সংস্পর্শে আসত তারা। শিকার করে মাংস আহার করত। এতে জীব-জন্তুবাহিত জীবাণু মানব শরীরে প্রবেশ করার সুযোগ তৈরি হয়। অন্যের বাসস্থানে মানুষের এই অনুপ্রবেশ আর অধিকার প্রচেষ্টা অজানা ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার প্রধান কারণ।


সাম্রাজ্য বিস্তারও ব্যাধি-মহামারীর অন্যতম কারণ। মধ্যযুগ ছিল এরই ফলে রোগ বিস্তারের উল্লেখযোগ্য কাল। বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, ধর্মযুদ্ধগুলো এক দেশ থেকে অন্য দেশে সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়েছে। বাহক ছিল সৈন্য এবং তাদের রসদ। বিজয়ের ধ্বজা উড়িয়ে পরাজিত জাতির রক্তাক্তভূমিতে যারা তা-ব নৃত্য করছিল তারা ভাবতে পারেনি কোন ব্যাধির বীজ বপন করল জয়করা দেশে আর নিজেরা আক্রান্ত হলো কোন ঘাতক রোগে। অন্যদিকে পরাজিত পলাতক সৈন্যরা কী করে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ব্যাধিকে সঙ্গে নিয়ে পালালো, বুঝতেই পারেনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে পলাতক ইতালীয় সৈন্যরা ভূমধ্যসাগর হয়ে মারণ রোগ প্লেগ ছড়িয়ে দেয় পশ্চিম ইউরোপে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও