প্রোটিন কেন গুরুত্বপূর্ণ? কী পরিমাণে খেতে পারেন?
প্রোটিন হলো শরীরে পেশী তৈরির প্রধান উপাদান। ত্বক এবং পেশীর পাশাপাশি এনজাইম, হরমোন, নিউরোট্রান্সমিটার এবং বিভিন্ন অণু তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বলতে পারেন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে প্রোটিন।
প্রোটিন অ্যামিনো অ্যাসিড নামক ছোট অণু নিয়ে গঠিত। যা একটি মালার মতো একত্রিত হয়। এই সংযুক্ত অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো দীর্ঘ একটি প্রোটিনের মালা তৈরি করে। আমাদের শরীর এই অ্যামিনো অ্যাসিড কিছু পরিমাণে উৎপাদন করে। তাই অবশ্যই আপনার খাদ্যের মাধ্যমে অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড গ্রহণ করতে হবে।
সাধারণত প্রানী থেকে পাওয়া প্রোটিন সঠিক অনুপাতে সমস্ত প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড আমাদের সরবরাহ করে। যেটা আপনি সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন: গরু এবং মুরগির মাংস। কারণ প্রাণীর টিস্যু মানুষের শরীরের টিস্যুর মতোই। আপনি যদি প্রতিদিন মাংস, মাছ, ডিম বা দুগ্ধজাত খাবার খান তাহলে বুঝতে হবে আপনি পর্যাপ্ত প্রোটিন পাচ্ছেন।
যাইহোক প্রাণীজ প্রোটিন না খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
প্রতিদিন কি পরিমাণ খেতে পারবেন
আপনার কতটা প্রোটিন দরকার সেটা মানুষ ভেদে পরিবর্তণ হতে পারে। বেশিরভাগ পুষ্টিবিদরা পরিমিত পরিমাণেই প্রোটিন গ্রহণ করতে বলেন।
শরীরের ওজনের প্রতি এক পাউন্ডের জন্য গ্রহণ করতে পারবেন ০.৩৬ গ্রাম প্রোটিন (প্রতি কেজিতে ০.৮ গ্রাম)।
১৫০ পাউন্ড ওজনের ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন ৫৪ গ্রাম এবং ১৮০ পাউন্ড ওজনের ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন ৬৫ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন। তবে এখানে একটি কিন্তু আছে । সবার শরীর আলাদা। কারে পরিমাণ, স্তর, বয়স, ওজন এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রোটিন গ্রহণের মাত্রা নির্ভর করে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার