You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ছোট দল-বড় দলের তফাত কমেছে

শহরে কোন দেশের লোক কত সংখ্যক, তা বোঝার দুটি পন্থা বেছে নিয়েছে দোহা। প্রথমত, ফ্যান জোনে সন্ধ্যার পর কোন দেশের পতাকা বেশি দেখা যায়। আর দ্বিতীয়ত, মেট্রোরেলের যাত্রীদের গায়ে কোন দেশের জার্সি বেশি। বিশ্বকাপ শুরুর দিকে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ছাড়াও ইংল্যান্ডের আধিপত্য ছিল দুটি সূচকেই। গেল কিছুদিন কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে মরক্কো। শহরে মরক্কোর পতাকা এবং জার্সি দুটিই বেড়েছে, হোটেলগুলোতে জার্মান আর স্প্যানিশদের ছেড়ে যাওয়া বোর্ডিংগুলো বুক করে নিচ্ছেন মরক্কানরা। স্থানীয় কাতারিদের কেটে রাখা কোয়ার্টার আর সেমিফাইনালের টিকিটও হাতবদল হচ্ছে তাদের কাছে। বিশ্বকাপের নকআউটে এসে যেন ছোট দল আর বড় দলের তফাতটা মিশে যাচ্ছে। বেলজিয়ামের পর স্পেন-মরক্কোর হাতেই বিদায় নিয়েছে ইউরোপের দুই ফেভারিট দল। জার্মানি কি কখনও ভুলতে পারবে জাপানের কথা! এশিয়ার এই দলটির কাছে হেরেই তো বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। অস্ট্রেলিয়া ডেনমার্ককে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে নকআউট পর্বে ওঠে। গতকাল এসবই বলতে বলতে গর্বিত মনে হচ্ছিল ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফানিত্তেনিওকে। 'গ্রুপ পর্ব থেকে এবার নকআউটে এসেছে প্রায় প্রতিটি মহাদেশের একটি করে দেশ। আর এতেই প্রমাণিত হয়, ফুটবল আর কেবল গুটি কয়েক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ফুটবল সত্যিকারেই বৈশ্বিক আকার পেয়েছে।'

ফিফা সভাপতি হিসেবে এটা আসলেই তাঁর গর্বের ব্যাপার। কিন্তু বাস্তবতাও এটা, ঘুরেফিরে সেই তো লাতিন আর ইউরোপেরই দ্বৈরথ হতে চলেছে। লাতিনের দুই পাওয়ার হাউস ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা কোয়ার্টারে উঠেছে। অন্যদিকে, ইউরোপ থেকে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া ও নেদারল্যান্ডস। আফ্রিকা থেকে ইতিহাস গড়েছে কেবল মরক্কো। যদিও তাদের এই পর্যায়ে আসার কৃতিত্বটা আরবও নিতে পারে। কেননা, বৃহত্তর আরব অঞ্চলেরই সদস্য মরক্কো। তাই তাদের আনন্দে মরুতেও সুর ওঠে। কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোকে মুখোমুখি হতে হবে পর্তুগালের। আগের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে পর্তুগিজরা রীতিমতো ফর্মের তুঙ্গে। অন্যদিকে, মরক্কো কিন্তু এখনও ডিফেন্সেই তাদের শক্তিমত্তা বাড়াবে। শনিবার এই ম্যাচটি থেকে জয়ী দলকে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে হবে ফ্রান্স আর ইংল্যান্ড ম্যাচের জয়ীর সঙ্গে। ওই ম্যাচটিও উত্তেজনায় ভরপুর থাকবে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স দারুণ ছন্দে রয়েছে। যদিও তাদের সেরা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে ইনজুরির শঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে নাকি ক্যাম্প ছেড়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টে এরই মধ্যে ৫ গোল করে গোল্ডেন বুট পুরস্কারের প্রথম দাবিদার হয়ে আছেন। যদি সত্যিই এমবাপ্পে সেদিন খেলতে না পারেন, তাহলে কিন্তু এগিয়ে থাকবে হ্যানি কেইনদের ইংল্যান্ডই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন