কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এসএসসির ফলাফল ও শিক্ষার মান

বণিক বার্তা মাছুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:২৪

দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো এসএসসি পরীক্ষায় বসল শিক্ষার্থীরা। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০ লক্ষাধিক। প্রথম দিনে পরীক্ষা দিয়েছে ১৯ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি। প্রথম দিনের পরীক্ষায় ৩৩ হাজার ৮৬০ জনের অনুপস্থিতির ঘটনা উদ্বেগজনক। ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনটি কেটেছিল নানা ঘটনা-অঘটনের মধ্য দিয়ে। এদিন কিছু কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল। ২৬ পরীক্ষার্থী প্রথম দিনই বহিষ্কৃত হয়েছিল অসদুপায় অবলম্বনের কারণে। নড়াইলে ভুল প্রশ্নপত্র দেয়ার কারণে যশোর বোর্ডের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ অংশের পরীক্ষাই স্থগিত করতে হয়েছিল। অন্যবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও এবার বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে ঢুকতে হয়েছিল। এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০২১ সালে মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষায় পৌনে পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এদের মধ্যে ৪৭ হাজার ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছিল এবং ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে।


এ প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ ছিল না কারণ মাত্র ১১ হাজার ৬৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য থেকে এ ফিগার এসেছিল যদিও আমাদের পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি। নিবন্ধন করার পর কোনো শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার অর্থ তার শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কোনো কোনো পরীক্ষার্থী গরহাজির থাকলে সেটি ভিন্ন কথা, কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে বাল্যবিবাহ হওয়া আর ছেলেদের শিশুশ্রমে নিযুক্ত হওয়া কিন্তু উদ্বেগের বিষয়। যারা শিক্ষার নয়টি ধাপ পেরিয়ে এসএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছে, তাদের প্রত্যেকে যাতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। করোনার ধাক্কা আমরা মোটামুটি কাটিয়ে উঠেছি কিন্তু করোনার যে অভিঘাত শিক্ষায় পড়েছে তা কাটিয়ে ঊঠতে আরো সময় লাগবে। এজন্য যেমন টেকসই কর্মসূচি নিতে হবে, তেমনি তার বাস্তবায়নেও সবাইকে এগিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।


মাধ্যমিকের এ পরীক্ষার্থীরা ২০২০ সালে নবম শ্রেণীতে লেখাপড়া শুরুর মাত্র আড়াই মাসের মাথায় করোনার কারণে তাদের সরাসরি ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়। ২০২১ সালে দশম শ্রেণী শেষ করা পর্যন্ত সরাসরি ক্লাস করার সুযোগ তারা খুব কমই পেয়েছে। অনলাইন আর অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক লেখাপড়াই ছিল তাদের প্রধান অবলম্বন। এর পরও তারা স্বাভাবিক সময় বা ২০১৯ ও ’২০ সালের পরীক্ষার্থীদের চেয়ে এ ব্যাচটির পাসের হার বেশি। ২০১৯ সালের পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ আর ২০২০ সালে ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শুধু পাসের হারে নয়, জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায়ও এবার ভালো করেছে এ ব্যাচটি। এ ব্যাচকে করোনার ব্যাচ বলেই অভিহিত করেছেন কেউ কেউ। এ ব্যাচের পরীক্ষার্থীরা বেশ ভালো করেছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তারা জিপিএ ৫ বেশি পেয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীদের চেয়ে এদের পাসের হার বেশি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার হার কমেছে। গত বছর বা তিন বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাস করা শিক্ষার্থীর তুলনায় পাসের হার কম হলেও আগের চার বছরের মধ্যে এবার পাসের হার সর্বোচ্চ। আর জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অতীতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।


আমরা যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করি তাদের সামনের প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার পরই একটি প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দেয় আর সেটি হচ্ছে কত শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে আর কত শতাংশ পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। এ দুটি মানদণ্ড কী আসলেই শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মানের কথা বলে? এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরীক্ষা হচেছ ‘ও’ লেভেল যেখানে কোনো ধরনের প্রশ্ন রিপিট করা হয় না, যেখানে কোনো ধরনের প্রশ্ন শুধু মুখস্থ করে কিংবা দেখাদেখি করে টিক দিয়ে পাসের হার কিংবা জিপিএ ৫কে ভারী করা হয় না। একজন শিক্ষার্থী যখন ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় একটি বিষয়ে ‘এ’ প্লাস পায় তখন কোনো ধরনের প্রশ্ন ছাড়া ধরে নেয়া হয় সে ওই বিষয়ে আসলেই ভালো। সে আন্তর্জাতিক যেকোনো ধরনের কম্পিটিশনে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে। আমাদের এসএসসির এ প্লাস কিন্তু সে কথা বলে না। এখানে এখনো প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটে, প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে অনেকেই ব্যস্ত। এখন প্রশ্ন, কমন পড়ানো নিয়ে অনেকেই পাণ্ডিত্য জাহির করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও