আন্তর্জাতিক আইন এবং কূটনীতিকদের দায়ভার

বিডি নিউজ ২৪ এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:৪৩

বাংলাদেশে কর্মরত বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত কর্তৃক আমাদের রাজনীতিতে নগ্নভাবে নাক গলানোর ঘটনা সকল সচেতন নাগরিককে শুধু অবাকই নয় বরং ক্রোধান্বিত করেছে। কেননা এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা রয়েছে কূটনীতি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনে।


সভ্যতার আদিকাল থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য করতে হয়েছে, যার প্রমাণ পাওয়া গেছে মহেঞ্জোদারো এবং হরপ্পায় প্রাপ্ত ধ্বংসাবশেষ থেকে। মেসোপটেমিয়ায় আবিষ্কৃত, প্রাচীন চীনে পাওয়া দক্ষিণ আমেরিকার মায়ার সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ থেকে, ময়নামতি, তক্ষশিলা এবং মহাস্থান গড়ের ধ্বংসাবশেষ থেকেও। পরবর্তীতে ইংল্যান্ড, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সাথে ভারতের বাণিজ্যের প্রমাণ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এসব কোম্পানি দূতের মাধ্যমেই ভারত শাসকদের কাছে ব্যবসার প্রস্তাব পাঠাতো। তবে সে সব দূতেরা স্থায়ী বসবাস করতেন না, ছিলেন বিশেষ কাজে বিশেষ প্রস্তাব নিয়ে আসা। মৌর্য আমলের বিখ্যাত পণ্ডিত কৌটিল্য তার যুগেই বিভিন্ন দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব উপশমে কূটনৈতিক আলাপের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। একইভাবে আন্তর্জাতিক আইনের জনক ডাচ জুরিস্ট হিউগো গ্রসিয়াস বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দ্বন্দ্ব নিরসনে দূতের মাধ্যমে আলোচনার কথার উল্লেখ করেছেন। ইতিহাস বলছে, তিব্বত চেঙ্গিস খানের কাছে দূত পাঠিয়েছিল। চীনে প্রতিষ্ঠিত চেঙ্গিস খানের দৌহিত্র কুবলাই খানও বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নেওয়ার জন্য কোনও ধর্ম গুরুকে পাঠানোর অনুরোধ করে তিব্বতে দূত পাঠিয়েছিলেন। মিশর খ্রিস্টপূর্ব ১৪ শতকেই দূতের মাধ্যমে অন্য দেশের সাথে আলোচনা চালাতো বলে জানা যায়। মধ্য আমেরিকার মায়া সভ্যতার ভগ্ন প্রাচীরের লেখনি থেকে আঁচ করা যায় যে প্রাচীনকালে মায়া সভ্যতার শাসকরা বিভিন্ন দেশে প্রতিনিয়ত কূটনৈতিক প্রতিনিধি পাঠাতেন। দক্ষিণ আমেরিকায় ইনকা শাসকরাও দূত পাঠাতেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। খ্রিস্টপূর্ব ২৮৫০ শতকে মেসোপটেমিয়ার নগর রাজ্যগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক আদান-প্রদান ছিল। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২৮০ সালে মিশর রাজ দ্বিতীয় রামেস- এর সাথে হিট্টাইট রাজাদের কূটনৈতিক আলোচনার নজির পাওয়া যায়। চীনের প্রাচীন দলিল থেকে দৃশ্যমান যে সে দেশের পণ্ডিত ধুয়াংজি কূটনীতিকদের জন্য নীতিমালা তৈরি করেছিলেন।


প্রথমে কুইং রাজদের এবং পরে হ্যান সাম্রাজ্যের সময়ে চীন বাণিজ্য এবং নিরাপত্তাজনিত বিষয় আলোচনার জন্য প্রতিবেশি দেশগুলোর দূতদের গ্রহণ করতেন।


কৌটিল্য লিখেছেন, একজন দূতের দায়িত্ব হচ্ছে তার নিজ দেশের রাজার কাছে তথ্য পাঠানো, রাজার সম্মান রক্ষা, বন্ধু লাভ, বন্ধু ভাবাপন্ন দেশগুলোকে শত্রু ভাবাপন্নদের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ করা, গুপ্তচর প্রেরণ করা, গোপন তথ্য সংগ্রহ করা। মৌর্য রাজা অশোক গ্রিক নিয়ন্ত্রিত রাজ্যগুলো থেকে দূত গ্রহণ করতেন এবং পশ্চিম, মধ্য এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় দূত পাঠাতেন মূলত বুদ্ধের বাণী প্রচারের জন্য। প্রাচীন গ্রিসের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা মহাকবি হোমারের ইলিয়াড এবং ওডিসিতে পাওয়া যায়। খ্রিস্টপূর্ব ৭৭৬ সালে অলিম্পিক খেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। গ্রিস-ইরান যুদ্ধের সময়ও দূতিয়ালির মাধ্যমে আলোচনা চলতো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও