কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে চান কেন?

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১০:৪৬

গত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম এ মোমেন বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে মতামত চাওয়ার সংস্কৃতি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিয়ম-রীতি-আইন অনুযায়ী চলা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশের বিভিন্ন লোকজন দেশের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে বিদেশিদের মতামত চান। যদিও ওনারা (কূটনীতিক) আমাদের অতিথি, দেশ সম্পর্কে, ইতিহাস প্রসঙ্গে বাংলাদেশিদের চেয়ে তাঁদের জ্ঞান কম আছে। এই সংস্কৃতির (মতামত চাওয়া) পরিবর্তন হওয়া দরকার। তবুও ওনারা (দেশের লোকজন) তাঁদের (কূটনীতিক) কাছে যান। আমরা কিন্তু এখন আর পরাধীন দেশ নই। সেটা তাঁদের (কূটনীতিক) মনে রাখা উচিত।’


বাংলাদেশে যাঁরা কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করতে আসেন, তাঁদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার না জানার কথা নয়। তারপরও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা সরকারের অন্যান্য নীতিনির্ধারককে তাঁদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হয় কেন? পৃথিবীর কোনো দেশে ক্ষমতা বদলের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু ভোটের সংজ্ঞা বদলে যায় না। বাংলাদেশে যায়। ফলে কূটনীতিকেরা বিভ্রান্তিতে পড়েন।


জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছে। কয়েক দিন আগে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত একটি সংলাপে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে দেখতে চায় জাপান। তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও শুনিনি। আমি আশা করব, এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না।’


নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে বিদেশ রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিকদের এখনকার বক্তব্যে সরকারের মন্ত্রীরা বেজার হন, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে বিএনপির নেতারাও একইভাবে বেজার হতেন। সে সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদেরও বিদেশি দূতাবাসে গিয়ে ধরনা দিতে দেখা গেছে, এখন যেমন বিএনপির নেতারা দিচ্ছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার নসিহত না করে রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেদের ধরনা দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার কথা বললে সেটা স্বাধীন দেশের জন্য অনেক বেশি গৌরবের হতো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও