স্টার্টআপ: করপোরেটের দায় ও সুযোগ

বণিক বার্তা শওকত হোসেন প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২২, ০২:১১

বাংলাদেশে স্টার্টআপের অভিযাত্রা বেশি দিনের নয়। বড়জোর এক দশকের। এরই মধ্যে একটি ইউনিকর্ন মিলে গিয়েছে। ইউনিকর্ন মানে যে স্টার্টআপের বাজারমূল্য ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা (১ ডলারের বিনিময় মূল্য ১০০ টাকা হিসাবে)। একমাত্র ইউনিকর্ন বিকাশের বাজারমূল্য সফট ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার কালে নির্ধারিত হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, স্টার্টআপরা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে পুঁজি গ্রহণ করে। ওই পুঁজি গ্রহণকালে তাদের বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়। কারণ বিনিয়োগকারী কত টাকা বিনিয়োগ করে কতগুলো শেয়ার পাবে, সে অংকটা কষতে হয়। বিনিয়োগকালে ভ্যালুয়েশন বা মূল্য নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।


বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি স্টার্টআপের ইউনিকর্নে উত্তরণ। লক্ষটি কঠিন ও উচ্চাভিলাষী। এ লক্ষ হাসিলে সরকার বিভিন্ন কাজ করছে। যেমন তথ্য ও প্রযুক্তি বা আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইনফরমেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ একাডেমি বা আইডিয়া প্রজেক্ট, সিড বা আইডিয়া স্টেজে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান দিচ্ছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট রুল জারি করেছে, যে আইনের আওতায় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, ইমপ্যাক্ট ফান্ড বা তহবিল ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠিত হতে পারছে। তহবিল ব্যবস্থাপকরা দেশ-বিদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে পারছে। স্টার্টআপ বাংলাদেশ নামে একটি সরকারি মালিকানাধীন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছে। সরকার গত বছর বাজেটে স্টার্টআপের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে একটি নীতিমালা জারি করেছে। ব্যাংকারদের তাদের নিট লাভের ১ শতাংশ স্টার্টআপ ফান্ডের জন্য বরাদ্দ দেয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকাররা এ টাকা স্টার্টআপদের ঋণ আকারে প্রদান করবে।


সরকারের এসব উদ্যোগ কি তার ‘২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি ইউনিকর্ন’ লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথেষ্ট? ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, ‘ইউ নিড এ ভিলেজ টু গ্রো এ চাইল্ড’। যার মানে ‘একটি শিশু পরিপালনের জন্য প্রয়োজন পুরো একটি গ্রামের অংশগ্রহণ।’ স্টার্টআপের ক্ষেত্রে প্রবাদটি সমভাবে প্রযোজ্য। পার্থক্য এটুকু শিশুর ক্ষেত্রে যেটি গ্রাম, স্টার্টআপের ক্ষেত্রে সেটি দেশ। অর্থাৎ একটি স্টার্টআপকে লালন-পালন করে বড় করার জন্য প্রয়োজন পুরো দেশের সহযোগিতা, সমন্বয় ও অংশগ্রহণ। আমাদের পাশের দেশ ভারত স্টার্টআপ অভিযাত্রায় অনেক এগিয়ে। গত বছর ভারতে ২০টি ইউনিকর্ন উত্পন্ন হয়েছে। অবশ্য ভারতে স্টার্টআপের যাত্রা প্রায় ৩০ বছর আগে, যা বাংলাদেশে শুরু হয়েছে বছর দশেক আগে। ভারতে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের আইন জারি হয়েছে ১৯৮৬ সালে, যা বাংলাদেশে জারি হয়েছে ২০১৫ সালে। ভারতে ‘স্টার্টআপ ফার্স্ট’ নীতি খুবই কার্যকর। আমাদের দেশে অনেক কিছু এখনো ‘লিপ সার্ভিসে’ সীমাবদ্ধ। নীতিনির্ধারক পর্যায়ে অনেকের কাছে স্টার্টআপের ধারণা এখনো স্পষ্ট নয়। নেই স্পষ্ট সংজ্ঞা। তাই সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তৈরি হচ্ছে ভুল বা ত্রুটিপূর্ণ নীতিমালা।


নীতিমালা তৈরিতেও হচ্ছে দীর্ঘসূত্রতা। এরই মধ্যে ঘটে যাচ্ছে অঘটন। যেমন ঘটেছে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে। যেমনটি বলেছিলাম, স্টার্টআপের লালন-পালনের (একটি স্টার্টআপ প্রাথমিক অবস্থায় একটি শিশুর চেয়েও নাজুক। তাই লালন-পালন শব্দবন্ধটি খুব জুতসই) জন্য, সরকার ছাড়াও আরো অনেক অংশীজনের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। যেমন দক্ষ জনবল (কর্মী হিসাবে), সাধারণ জনগণ (গ্রাহক বা ক্রেতা হিসাবে), মিডিয়া, করপোরেট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আইনপ্রণেতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইত্যাদি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও