দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং করণীয়

জাগো নিউজ ২৪ ড. হাছানাত আলী প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৫৩

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে আছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিনিয়ত প্রতিটি পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। মধ্যবিত্তরাও এখন দামের চাপে ব্যাগের তলানিতে পণ্য নিয়ে ফিরছেন ঘরে। নিম্নবিত্তদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। দাম বাড়ার কোনো কারণ না থাকলেও ফের বাড়তে শুরু করেছে মোটা চাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, মসুর ডালসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এসব পণ্যের বাড়তি দামের চোটে যেমন একদিকে ক্রেতারা চাহিদার তুলনায় পণ্য কম কিনছেন, তেমনি বিক্রেতাদেরও বেচাকেনা কমেছে।


সবকিছুর দাম বাড়তি। দাম শুনে অনেকে পণ্য না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। যেটা না নিলেই নয়, সেসব পণ্য এক কেজির জায়গায় আধা কেজি নিচ্ছেন। আগে যারা পুরো প্যাকেট নিতেন, তারা খোলা কিনছেন। দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে স্বস্তি নেই সাধারণে। এ অবস্থায় ক্রেতারা নাজেহাল। বাজারে একের পর এক জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। পরিস্থিতি দিন দিন খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষের বেঁচে থাকার অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার সংসারের খরচ কমাতে কমাতে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে ভুলে গেছে। ফলে গ্রামাঞ্চলে ও বস্তিতে বসবাসকারী বিরাট জনগোষ্ঠী সুষম খাদ্যাভ্যাস থেকে অনেকটা দূরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।


এদিকে বাজারে নতুন অস্বস্তি নিয়ে এসেছে ভোজ্যতেল। দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছিল এক মাস আগে। এর মধ্যেই আবার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এবার তারা লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে চান। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়ার পর এরই মধ্যে বাজারে তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। ফলে বেশির ভাগ দোকানে আগের নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল আর পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও কিনতে হচ্ছে আরও বেশি দামে।


সরকার ঘোষণা দেওয়ার আগেই ডিলাররা তেলের দাম বেশি নেওয়া শুরু করেছে। অথচ সরকার যখন দাম কমিয়ে দেয় তখন বাজারে তার প্রভাব পড়তে অনেক সময় লাগে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফা লোভে মোটেই বিলম্ব করে না বোতলজাত সয়াবিনের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বেড়েছে পাইকারি বাজারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও