You have reached your daily news limit

Please log in to continue


আমাদের হলোটা কী-৪

সম্প্রতি এইচএসসি পরীক্ষার দুটো প্রশ্নপত্র নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্রথম প্রশ্নপত্রটি নজরে আসার পর ‘অপদার্থ!’ শিরোনামে একটি লেখা লিখেছিলাম। কিন্তু দু-এক দিনের মধ্যেই সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আনিসুল হককে হেয় করে কারিগরি বোর্ডের প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্ন ছাপা হওয়ার পর ব্যাপারটাকে নিছক আহাম্মকি বলে ছেড়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বোঝা যাচ্ছে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো কোনো শিক্ষকের মননে একটা বড় ফাঁক তৈরি হয়েছে। এই ফাঁক পাকা ফোড়ার মতো এতটাই বিকশিত হয়েছে যে কোনোভাবেই তাকে আর শুশ্রূষা করা যাচ্ছে না। দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ নিয়ে তা শিক্ষার শরীরেই অবস্থান করছে।

দীর্ঘকাল আমি আনিসুল হকের সহকর্মী ছিলাম। ২১ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে যে সখ্য হয়েছিল, তাঁর দিক থেকে যে প্রীতির পরশ পেয়েছি, সেই আবেগে নিমজ্জিত হয়ে এ লেখাটি লিখছি না। একেবারে নৈর্ব্যক্তিক অবস্থান থেকেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইছি।

২. আনিসুল হকের লেখা কেউ পছন্দ করতে পারেন, কেউ অপছন্দ করতে পারেন। তাঁর লেখা ‘গদ্য কার্টুন’ নামে কলামটি খুবই জনপ্রিয় ছিল। তাঁর লেখা গল্প-উপন্যাস নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর কাজ আছে। কাছে থেকে দেখেছি, দেশের স্বাধীনতা, অসাম্প্রদায়িকতা, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামসহ বহু ব্যাপারেই তিনি সোচ্চার একজন মানুষ। তাঁর সব লেখাই সবার পছন্দ হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। এটা পাঠকের নিজের রুচির ওপর নির্ভর করে। হুমায়ূন আহমেদকেও সবাই পছন্দ করতেন—এ কথা বলা যায় না। আবার এ-ও তো সত্য, তরুণ প্রজন্মের বিপুলসংখ্যক পাঠক ছিলেন হ‌ুমায়ূন-ভক্ত। বইমেলায় সারি বেঁধে হ‌ুমায়ূনের বই কেনার জন্য ক্রেতার ভিড়ের কথা কি ভোলা যাবে? আবার আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ভক্ত ও সমালোচকেরা দুদিকেই থাকবেন, কোনো সন্দেহ নেই। হাসান আজিজুল হককে নিয়েও কথা হবে দুদিক থেকেই। পরের উদ্ধৃত লেখক দুজনের বই লাইন ধরে কেনা হতো না। কিন্তু তাতে তাঁদের রচনাশৈলী কালোত্তীর্ণ নয়, এই ফতোয়া কি দেওয়া যায়? কিংবা বলে দেওয়া যায় যে ইলিয়াস বা হাসান ব্যর্থ লেখক? কেউ যদি মনে করেন, হুমায়ূন আহমেদকে ভালো লাগে বলে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে আপনার ভালো লাগতে পারে না, কিংবা কেউ যদি প্রশ্ন করেন, ‘যিনি জীবনানন্দকে ভালোবেসে পড়েন, তিনি আবার রবীন্দ্রনাথ পড়েন কীভাবে—’, তাহলে বুঝতে হবে, বোঝাপড়ায় কোথাও একটা ফাঁক রয়ে যাচ্ছে। এই ঘরানাপ্রীতিই পাঠককে বিভাজিত করে রেখেছে। পড়াশোনাকে করে তুলতে চাইছে একরৈখিক। আর এই প্রবণতা থেকেই এক লেখককে খাটো করে অন্য লেখককে বড় করে তোলার খেলা চলছে অবিরত। পাঠকমন যদি বৈচিত্র্যের সন্ধান করে, তাহলে তার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা যাবে না। এই প্রবণতাই সাহিত্যে রসাস্বাদনের পথকে খণ্ডিত করে ফেলে। এ কারণেই বিভিন্ন ‘ইজম’ এসে পাঠকের মনকে কাঁপিয়ে দেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন