যেভাবে স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি ফিরিয়ে আনবেন
যখন আমাদের দৃষ্টি, স্পর্শ, স্বাদ, শ্রবণ ও গন্ধ একত্র হয় তখনই আমরা স্বাভাবিকভাবে খাবার উপভোগ করতে পারি। যদি আমাদের ঘ্রাণশক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে তবে আমাদের স্বাদের অনুভূতি একই সঙ্গে দ্রুত হ্রাস পায়। এর কারণ হলো নাকের ঘ্রাণক্ষেত্রটি আমাদের স্বাদ এবং গন্ধ উভয়ই নিয়ন্ত্রণ করে।
কারণ
নানা কারণে স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারাতে পারে।
এসবের মধ্যে আছে বার্ধক্য, মাথায় আঘাত, নানা রোগের সংক্রমণ, ক্যান্সারের চিকিৎসা, ধূমপান, ওষুধ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—পুষ্টির ঘাটতি অন্তর্ভুক্ত।
প্রতিকার
পুষ্টির ঘাটতি, বিশেষ করে জিংক, ভিটামিন-বি-১২ এবং ভিটামিন-ডি সবই আমাদের স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। মুখের রুচি বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
♦ ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে ভিটামিন-বি-১২-এর অভাব আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ঘ্রাণজনিত সমস্যা দেখা যায়। তাই প্রাণিজ উপাদান যেমন : মাংস, কলিজা, দুধ, ডিম চাই রোজকার খাদ্যতালিকায়। খোলসযুক্ত প্রাণী (জলজ প্রাণী) আর সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, সারডিন) থেকেও ভিটামিন-বি-১২ পাওয়া যায়। তবে মাংস হচ্ছে ভিটামিন-বি-১২-এর সবচেয়ে ভালো উৎস।
♦ আমাদের স্বাদ এবং কোষের ঝিল্লির রক্ষণাবেক্ষণে জিংকের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। এটির অভাবে মুখের রুচি কমে যায়। জিংকজাতীয় খাদ্যের উৎসর মধ্যে রয়েছে লাল মাংস (গরু, খাসি), সামুদ্রিক খাবার, ডাল, মুরগির মাংস, শিম ও মিষ্টিকুমড়ার বিচি ইত্যাদি।
♦ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যকীয় গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন-ডি। এটি মানুষের ঘ্রাণতন্ত্র এবং সঠিক সেবনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে ১৫-২০ মিনিট গায়ে সূর্যের আলো লাগালে তা ভিটামিন-ডি তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
♦ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল আমলকী, লেবু, জাম্বুরা, আমড়া, আনারস, কমলা, মাল্টা বা জুস খেতে পারেন।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি