সম্ভাব্য খাদ্যসংকট মোকাবিলা কীভাবে?

প্রথম আলো মামুন রশীদ প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর ২০২২, ২১:২৮

শুরুতেই বলে নিই, খাদ্যসংকট আর দুর্ভিক্ষ এক নয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, এমনকি বিশ্বব্যাংক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে এবং বৈরী জলবায়ুর প্রভাবে ভবিষ্যতে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা করছে। সেই আশঙ্কায় দেশে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সঞ্চয়ের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।


বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তার বড় ঝুঁকি না থাকলেও সব সময় খাদ্য আমদানি করে দেশের চাহিদা মেটানো বেশ দুরূহ। খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য উৎপাদনে বহুল পরিচিত দেশগুলোতেও খাদ্য উৎপাদন কম হচ্ছে। সরবরাহব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দাম বেড়েছে। পত্রিকান্তরে জানা গেছে, নিজেদের প্রয়োজন মেটানোকে প্রাধান্য দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৫টি দেশ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।


কিছু দেশ আবার নানা ধরনের বিধিনিষেধও আরোপ করেছে। একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যের জোগান নেই, অন্যদিকে দেশে ডলারের সংকটের কারণে খাদ্য আমদানির জন্য এলসি বা ঋণপত্র খোলা সম্ভব হচ্ছে না। এতে খাদ্য আমদানি কমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতে খাদ্য আমদানি আরও কঠিন হবে। মোকাবিলা করতে হবে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ। যদিও বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনের পরিসংখ্যান নিয়ে ইতিমধ্যেই আস্থার অভাব দেখা দিয়েছে। তবু বলা যায়, বিশ্ব খাদ্য উৎপাদন ঘাটতির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে।


প্রধানমন্ত্রী, দেশের শীর্ষস্থানীয় কৃষিবিদেরাসহ অনেকেই কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য আমদানি কমাতে হবে। তাহলে অনেকটাই বৈশ্বিক খাদ্যসংকট থেকে দেশের স্বল্প আয়ের মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে তাঁরা দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে চলমান কর্মসংস্থান ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন। এ জন্য কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙা রাখার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এখনই যেখানে যে দামে সার, চাল, গম পাওয়া যায়, সেগুলো সংগ্রহ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও