সুতাকৃমিতে শিশু সংক্রমিত হলে

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর ২০২২, ০৯:২৭

কারণ


মলদ্বারে চুলকানোর নানা কারণ রয়েছে। এসবের মধ্যে আছে এনাল ফিশার, পায়খানার রাস্তায় কোনোরূপ জ্বালাযন্ত্রণা বা অ্যালার্জি রোগীর ভেজা আন্ডারপ্যান্ট। তবে রাতের বেলা পায়খানার রাস্তা চুলকানোর সর্বাধিক কারণ হচ্ছে সুতাকৃমি সংক্রমণ। রাতের বেলায় স্ত্রী সুতাকৃমি শিশুর মলদ্বারে নেমে এসে ডিম পাড়ে।


এতে পায়খানার রাস্তা সাংঘাতিক চুলকায়। এতে করে শিশুর অনেকটা নিজের অজান্তেই হাত দিয়ে পায়খানার রাস্তা চুলকাতে থাকে। এ সময় নখের মধ্যে ডিম ঢুকে যায়। পরে শিশু যখন কৃমির ডিম লেগে থাকা হাত নিজ মুখে পুরে দেয়, তখন সেই ডিম পেটে গিয়ে আবারও কৃমি তৈরি হয়। এভাবে এক অবিনাশী চক্র গড়ে ওঠে।


করণীয়


কৃমির চিকিৎসা খানিকটা জটিল। তা ছাড়া একই পরিবারে অন্য সদস্যদের মধ্যেও এই কৃমির সংক্রমণ থাকে, ফলে একসঙ্গে সবার চিকিৎসা না করানো হলে এই রোগ হতে শিশুকে মুক্তি দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। শিশু ও পরিবারের সবার ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যেমন—নিয়মিত নখ কাটা, পায়ে স্যান্ডেল পরানো, শিশুর পরিধানে কিছুটা লম্বা পায়জামার মতো প্যান্ট পরানো—যাতে করে ঘুমের মধ্যে সে খালি হাতে পায়খানার রাস্তা না চুলকাতে পারে। এসব পদক্ষেপ কৃমি সংক্রমণ প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি নির্দিষ্ট নিয়মে কৃমির ওষুধ শিশুকে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের খাওয়ানো। প্রতি তিন মাস অন্তর এই কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যায়।


চিকিৎসা


শিশুর মলদ্বার চুলকানোর চিকিৎসা কার্যক্রমের মধ্যে আছে কারণ অনুসন্ধানপূর্ব নির্দিষ্ট চিকিৎসা। অল্প ক্ষারের সাবান দিয়ে পায়খানার রাস্তা পরিষ্কার রাখা ও নরম কাপড় দিয়ে মুছে তা শুষ্ক রাখার ব্যবস্থা করা। ছোট শিশুর জন্য রোদের আলো বা সামান্য গরম ভাপের সাহায্যে পায়খানার রাস্তা চুলকানোর যন্ত্রণা খানিকটা লাঘব করা যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও