কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিচারের দাবি এবং রাষ্ট্রের স্বভাব-চরিত্র

সমকাল সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০২২, ১০:২০

জগৎসংসারে বাদীর সংখ্যাই বেশি; বিবাদীর তুলনায়। বিবাদীরাও আবার বাদী হয়; ঘটনাক্রমে। কারণ সংসার অন্যায়ে ভরপুর। সব বাদী আদালতে যায় না। অনেকেই অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করে। কেউ-কেউ আশা করে প্রকৃতি কিংবা পরকালের বিচারের ওপর। হয়তো এমনও ভাবে, একদিন তারও সুযোগ আসবে। প্রতিহিংসার রক্তাক্ত ঘটনা আগেও ঘটেছে, এখনও ঘটে। লোকে আদালতে যেতে চায় না, কারণ জায়গাটা রহস্যময়। সেখানকার তৎপরতা আদৌ নির্ভরযোগ্য নয়; আর যাওয়াটা কঠিন। একবার ঢুকলে বের হয়ে আসাটা যে সহজ, তাও নয়। তা ছাড়া আদালত নিষ্ঠুরও হয়। কতটা যে নিষ্ঠুর হতে পারে টের পায় তা ভুক্তভোগী। বিশেষ করে রাষ্ট্র যদি প্রতিপক্ষ হয়। বিচারালয়কে বলা হয় অন্ধ। অর্থাৎ নিরপেক্ষ, পক্ষপাতহীন। তার হাতে যে দাঁড়িপাল্লা আছে; দু'দিক তার কাছে সমান। কোনদিকে যে ঝুঁকবে- নির্ভর করে তথ্যপ্রমাণ, আইনকানুন, যুক্তি-তর্ক ইত্যাদির ওপর। বলা হয়, আইনের শাসন যেখানে শেষ; অত্যাচারের সেখানে শুরু। অথচ সাহিত্য, চলচ্চিত্র, ইতিহাস, বাস্তব জীবনে ঘন ঘন শোনা যায় বিচারের জন্য আর্তকণ্ঠে প্রার্থনা। কানে বাজে আদালতের প্রতি উচ্চারিত ধিক্কার ধ্বনি। মামলায় মীমাংসা যত না হয়, তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি হয় হার-জিত। যে হারে, সে-ও জিততে চায়। পারলে পাল্টা মামলা করে। আদালতে স্তূপ হয়ে পড়ে থাকে বিচারাধীন মামলার নথিপত্র।


আমরা তো দেখতেই পাই, আদালতে যেতে হলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। কোর্ট ফি লাগে, উকিল চাই, সাক্ষী-সাবুদ দরকার পড়ে; কাগজপত্র, নথি-দলিল সাজাতে হয়। তারপর একবার আদালতে ঢুকলে কবে যে বের হওয়া যাবে, তা অনিশ্চিতই থেকে যায়। উকিল ও বিচারক উভয়েই কালো পোশাক পরে থাকেন। যেন ভয় দেখাচ্ছেন আইন ভঙ্গকারীদের। কিন্তু ভয় পেয়ে যান বিচারপ্রার্থীরাও। এমনকি ন্যায়বিচার পেলেও এমন শঙ্কা থাকে- প্রতিপক্ষ আরও উচ্চ আদালতে রওনা দেবে। টাকার জোর থাকলে তো রওনা দেবেই। টাকার জোরটা অন্যত্র যেমন, এখানেও তেমনি আস্ত ও মস্ত। উকিল সাহেবরা টাকা ছাড়া এক পা নড়েন না। তাঁরা ন্যায়-অন্যায় চেনেন না; টাকা চেনেন। আদালত নিজেও যে টাকার স্পর্শ এড়াতে পারবেন- এ বিষয়েও নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই।


খুব বড়মাপের দার্শনিক ও লেখক ছিলেন ফ্রান্সিস বেকন; ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালতের সর্বোচ্চ বিচারকের আসন পেয়েছিলেন তিনি এক সময়। ঠিক সেই সময়েই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল উৎকোচ গ্রহণের। বিচারে তাঁর কারাদণ্ড হয় এবং পরে তিনি স্বীকারও করেন যে বিচারটা ন্যায়সংগতই ছিল। অত বড় দার্শনিক যদি উৎকোচের লোভ সংবরণ করতে অপারগ হন, তবে আইনের শাসনের ব্যাপারে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে উপায় কী?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও