লাতিন 'গোলাপি ঢেউ' থেকে বঙ্গীয় বামপন্থিদের শিক্ষণীয়
এক বছরেরও কম সময়ে লাতিন আমেরিকার তিনটি দেশে বামপন্থিরা ক্ষমতায় এসে গেল। শুরুটা হয়েছিল চিলি দিয়ে। তারপর কলম্বিয়া। আর শেষ হলো বিশ্বের সপ্তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ব্রাজিল দিয়ে। সাবেক মেটাল শ্রমিক, ট্রেড ইউনিয়নিস্ট ও বামপন্থি রাজনীতিক ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা লুলা দ্য সিলভা তৃতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। অবশ্য দ্বিতীয়বারের পর বেশ কিছুটা সময় তাঁকে ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়েছিল।
ব্রাজিলে লুলা দ্য সিলভার বিজয়ে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের বামপন্থিরাও উল্লসিত। উল্লেখ্য, ব্রাজিলের কমিউনিস্ট পার্টি প্রথম রাউন্ড নির্বাচনে নিজস্ব প্রার্থী দাঁড় করালেও দ্বিতীয় রাউন্ডে এসে লুলার প্রেসিডেন্সিকে সক্রিয় সমর্থন দিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে এ কথা অস্বীকার করা যাবে না, গোটা লাতিন আমেরিকা এখন বাম পন্থার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। সে কারণেই হয়তো ব্রাজিলে লুলার বিজয়ে গোটা বিশ্বের বামপন্থিরা উদ্বেলিত-উল্লসিত; যেমন হয়েছিল চিলির নির্বাচনে বরিসের বিজয়ে। কিন্তু ভেনিজুয়েলা আর কিউবার কথা বাদ দিলে লাতিন আমেরিকার যেসব দেশে বামপন্থিরা ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরা কতটুকু বাম আদর্শকে সম্বল করে আর কতটুকু সেসব দেশে বিরাজমান আর্থসামাজিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে; তা বিবেচনার দাবি রাখে। সেই বিবেচনা থেকেই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর বামপন্থিদের আগামী দিনে তাঁদের পথ বেছে নিতে হবে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বামপন্থী
- শিক্ষা গ্রহণ