কুইক রেন্টাল-ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে প্রশ্ন
রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ক্যাপাসিটি চার্জ আর কত দিন টানতে হবে- জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তারা বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির বদলে বাণিজ্যিক ঋণ নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের দায়মুক্তির বিশেষ বিধান আইন নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাশাপাশি তেলভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার প্রক্রিয়া, লোডশেডিং, বিদ্যুৎ বিভাগের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছে আইএমএফ।
ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গতকাল বুধবার বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বৈঠকে এসব বিষয় উঠে আসে। বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবির পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয়ে আইএমএফকে অবহিত করা হয়। পিডিবি বলেছে, বাণিজ্যিক ঋণের চেয়ে ভর্তুকি তাদের জন্য সুবিধাজনক।
এদিকে সচিবালয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক বৈঠকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাজার সুবিধা ও রপ্তানি, তৈরি পোশাক রপ্তানি একক খাত-নির্ভরতা কমিয়ে বহুমুখীকরণ, আঞ্চলিক ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, শুল্ক্কহারসহ নানা ইস্যুতে আলোচনা হয়।
প্রতিনিধি দল গতকাল সকালে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে পিডিবির সঙ্গে বৈঠক করে। বিদ্যুৎ বিভাগের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান। পিডিবির বৈঠকে নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।
জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে বিদ্যুতে ভর্তুকি বাড়ছে। গত অর্থবছরে (২০২১-২২) বেসরকারি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পিডিবির ভর্তুকি লেগেছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থবছরে ভর্তুকি বেড়ে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে মনে করছে পিডিবি। এদিকে গত ১২ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের ৮৬ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ (বিদ্যুৎ না কিনলে চুক্তি অনুসারে উদ্যোক্তাদের পরিচালন ও অন্য খরচ হিসেবে দেওয়া হয় যে অর্থ) দিতে হয়েছে সরকারকে।