ব্রুনাইয়ের শ্রমবাজার: সম্ভাবনা ও শঙ্কা
সম্প্রতি ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদৌল্লাহ বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছিলেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উভয় দেশের শীর্ষ নেতার এ বৈঠক সফল বলেই সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সত্তর ও আশির দশকে ব্রুনাই বাংলাদেশের জনশক্তির বড় বাজার ছিল। নব্বইয়ের দশক থেকে ক্রমে বাজারটি সংকুচিত হতে থাকে। ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর ব্রুনাইয়ের সুলতানের সফরকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দু'দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ দুই মুসলিম দেশের বৃহত্তর সুবিধার্থে বাংলাদেশ থেকে আরও অধিক হারে জনবল নিয়োগের জন্য ব্রুনাইয়ের সুলতানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ব্রুনাইয়ের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান। সুলতানের প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়।
শ্রম অভিবাসন বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। প্রতি বছর ৬-৭ লাখ অদক্ষ নাগরিক কাজের জন্য বিদেশে যান। বলা হয়, আমরা ১০০টির বেশি রাষ্ট্রে জনশক্তি পাঠাই। আসলে মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি রাষ্ট্র ঘিরে গড়ে উঠেছে আমাদের শ্রমবাজার। এসব অদক্ষ জনশক্তি ঘুরেফিরে এ ১৩টি দেশেই যাচ্ছে। অদক্ষ জনশক্তি না পাঠিয়ে দক্ষ জনশক্তি পাঠানো গেলে রেমিট্যান্সের হার হতো বহুগুণ। ১৩টি দেশের কথা বলা হলেও সবসময় দেখা যায় শ্রমবাজারটি একক কোনো দেশে কেন্দ্রীভূত। অর্থাৎ যে কোনো একটি দেশে অনেক বেশি অভিবাসন হয়। যেমন- সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, দুবাই প্রভৃতি।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বৈদেশিক শ্রমবাজার