
৩১ জেলায় আমনের ক্ষতি উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
২৪ অক্টোবর দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের মোট ৩১টি জেলার আমন ধানের আবাদি জমি নানা মাত্রায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এসব জেলায় আমন আবাদে ব্যবহূত মোট ৮০ হাজার ৭৭৭ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে। এর বাইরেও বিপুল পরিমাণ আবাদি জমির ধানে চিটা পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এবার আমন মৌসুমে চালের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন পাওয়া নিয়ে বড় ধরনের আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষি খাতসংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, অনাবৃষ্টির কারণে এবার নির্ধারিত সময়ে আমন আবাদ শুরু করা যায়নি। কিছু জেলায় সবে ধান পাকতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই আঘাত হেনেছে সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টিপাতে অনেক জমির ধান হেলে পড়েছে। কিছু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে জলোচ্ছ্বাসে। ধানি জমিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। যেসব জমি এরই মধ্যে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তার বাইরেও অনেক ফসল দুর্যোগের প্রভাবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বের সরবরাহ ব্যবস্থায় তৈরি হয়েছে বড় সংকট। আগামী বছর বিভিন্ন দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দেশেও খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আসন্ন এ সংকট মোকাবেলায় উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিতের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যেই সিত্রাংয়ের প্রভাবে আমন উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা আসন্ন সংকটে বিপদের মাত্রা আরো বাড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।