সিত্রাংয়ের পূর্বাভাস নিয়ে এত বিভ্রান্তি কেন

প্রথম আলো গওহার নঈম ওয়ারা প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১৫:১৪

সাগরে সৃষ্টি হওয়া কোনো নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস যথাযথ না হলে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসে চিড় ধরে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। চরম বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে এবারও হিমশিম খেতে হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের।


সোনাগাজীর সংবাদদাতা ফাঁকা আশ্রয়কেন্দ্রের ছবি পাঠিয়েছেন। জানিয়েছেন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা বারবার মাইকিং ও অ্যালার্ম বাজিয়ে সতর্কবার্তা দিলেও সোনাগাজীর উপকূলবাসীরা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চাইছেন না। স্বেচ্ছাসেবকেরা বলছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, এমন কথা তাঁরা বিশ্বাস করছেন না। সব ঝড়কে সাইক্লোন বললে ভবিষ্যতে এ রকম পরিস্থিতির ধারাবাহিকতা বাড়বে।


‘বড় দেরিতে তুমি বুঝলে’


কৃষকদের এই আশঙ্কার কথা আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয় বুঝতে পারে সোমবার, ২৪ তারিখে। ততক্ষণে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। সোমবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভা বসে; সভা কৃষকদের কাছে আমন ধান কেটে ফেলার নির্দেশনা প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেয়। বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে মাঠের আমন ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলেই কেটে ফেলতে হবে। পরে কৃষি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেটা প্রচার করে। এবারের আমন ধানের অবস্থা কৃষি মন্ত্রণালয়য়ের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। উত্তরের কিছু জেলা ছাড়া আমন এবার বৃষ্টির অভাবে দেরিতে লাগাতে হয়। দক্ষিণের জেলাগুলোতে এখনো ধানে ফুল আসতে বাকি।


এমন অবস্থায় মন্ত্রণালয় কেমন করে ৮০ শতাংশের হিসাব কষেন? তা ছাড়া কোনো ক্যারিশমায় যদি কোথাও ৮০ শতাংশ ধান পেকেও যায়, তাহলেও কি সেটা কাটার সময় সোমবার সন্ধ্যা হতে পারে? তবে ওই সভায় নেওয়া ১০টি সিদ্ধান্তের শেষের দুটি খুবই সঠিক আর কৃষিবান্ধব হতে পারে। সিদ্ধান্ত দুটি এ রকম—ক. উপকূলীয় এলাকায় ফসলের খেতে পানি ঢুকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা। খ. স্লুইসগেট (জলকপাট) অপারেশনের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি শস্যখেতে প্রবেশ রোধ ও অধিক উচ্চতায় জোয়ারের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে তা নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা করা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও