কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিশ্ব পরিস্থিতি ও সাংহাই সহযোগিতা শীর্ষ সম্মেলন

কালের কণ্ঠ গাজীউল হাসান খান প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ১৩:০৫

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সমরবিশারদদের বেশির ভাগের মতে, দুই দেশের মধ্যে চলমান কোনো বড় সংঘর্ষ কিংবা যুদ্ধে কোনো তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি কিংবা প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ার অর্থই হচ্ছে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ। কিন্তু সাম্প্রতিককালে সিরিয়া কিংবা ইয়েমেনে যা ঘটেছে বা ঘটছে তাকে আধুনিক সমর কৌশলের ভাষায় বলা হচ্ছে ‘প্রক্সি ওয়ার’। কারণ সেই সংঘর্ষের প্রাথমিক অবস্থায় তৃতীয় কোনো দেশ সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে ময়দানে নামেনি। বর্তমানে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ বা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে প্রথম দিকে অবস্থা সে রকম থাকলেও, অর্থাৎ তৃতীয় কোনো ইউরোপীয় দেশ প্রত্যক্ষভাবে না জড়ালেও এখন ক্রমে ক্রমে সেই দৃশ্যপট অনেকটাই দ্রুত পাল্টাচ্ছে।


বিশ্বব্যাপী সমরবিশারদ কিংবা নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা রাশিয়া-ইউক্রেন সশস্ত্র সংঘর্ষের প্রথম দিকে বলেছিলেন, এতে পশ্চিমা সামরিক জোটভুক্ত ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশের প্রত্যক্ষভাবে জড়ানোর অর্থই হবে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’। ন্যাটোর নেতৃত্বদানকারী পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্য ও অন্যরা এই চলমান সংঘর্ষের গোড়ায় বলেছিল, এতে তারা সরাসরিভাবে এই সংঘর্ষে যুক্ত হবে না। কারণ ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যভুক্ত কোনো দেশ নয়। তবে রাশিয়ার অর্থাৎ তাদের ভাষায় ‘আক্রমণকারী দেশের’ বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে তারা সাহায্য করবে। কিন্তু এখন সেই বক্তব্যের মোড় অতি দ্রুততার সঙ্গে বাঁক নিচ্ছে অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতির দিকে।


বিশাল ইউরোপীয় দেশ ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত রুশভাষী অধ্যুষিত অঞ্চল দোনেত্স্ক, লুহানস্ক কিংবা খেরসন ও জাফরেজিয়া অনেকাংশে দখল ও মূল রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সংযুক্ত করে নেওয়ার কারণে ন্যাটো নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে আমূল পরিবর্তন আসতে দেখা যাচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে উল্লিখিত অঞ্চলগুলোর সাংবিধানিকভাবে অন্তর্ভুক্তিকে কেন্দ্র করে ন্যাটোর মহাসচিব স্টলটেনবার্গের একটি সাম্প্রতিক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন বিশ্বব্যাপী নতুনভাবে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। স্টলটেনবার্গ বলেছেন, রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের পরাজয় হবে ন্যাটো সামরিক জোটের পরাজয়। ইউক্রেনের মতো কৌশলগত অবস্থানে রাশিয়াকে কোনোভাবেই জয়ী হতে দেওয়া যাবে না। তাই ন্যাটোকে ইউক্রেনে দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য অবশ্যই তৈরি থাকতে হবে। এ যুদ্ধে ইউক্রেনের সাফল্য ন্যাটোর জন্য প্রতিরক্ষার দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইউক্রেনে সর্বাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ শক্তিশালী বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও