ভবিষ্যৎ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রত্যাশা ও নির্বাচন
বাংলায় একটি প্রচলিত কথা আছে। পারিবারিক পর্যায়ে যে কথাটি বারবার ফিরে আসে। পারিবারিক সংঘাতে আমরা অনেক সময় শুনতে পেয়েছি: 'দেখতে এসেছ! দেখে যাও, দেখাতে চেওনা'। সংলাপ হিসেবে চলচ্চিত্ত্রেও ব্যবহৃত হয়েছে এই বাক্যটি।
বর্তমানে আমাদের নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা জানেন কিনা তা বোঝা যায়নি। নির্বাচন কমিশনারের উদ্যোগে যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে তাতে এই চিত্রটি ফুটে উঠেছে যে- মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন তাদেরকে তেমন একটি গ্রাহ্য করেন না।
তাদের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা এই নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারেননি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন এই প্রথম মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে বৈঠকটি করেছেন তার উদ্দেশ্য ছিল একটি বার্তা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা যে তারা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়।
কিন্তু একজন নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়। বিগত নির্বাচন গুলোর অস্থাহীনাতার জন্য সাবেক আমলা নির্বাচন কমিশনার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপরই দোষ চাপাতে গিয়েছিলেন। সে কারণে সবাই উপস্থিত মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতিবাদের মুখে তিনি তার বক্তব্য শেষ করতে পারেননি এই হচ্ছে আমাদের নির্বাচন কমিশনারদের অবস্থা। গণমাধ্যম তাই তুলে ধরেছে।