কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ফেমেনের নগ্ন প্রতিবাদ যে কারণে ইরানের নারী আন্দোলনের জন্য ক্ষতিকর

প্রথম আলো হেলাল মহিউদ্দীন প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৩২

ইরানের নারীদের বিপ্লবকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নগ্ন প্রতিবাদের বেশ কিছু ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। যাঁরা সেগুলো শেয়ার করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই জানেন না, এসব ছবি ইউরোপের নানা দেশের। এসব নারী ইরানের বাসিন্দা নন। ‘ফেমেন’ নামের একটি বিখ্যাত নারী সংগঠনের আয়োজনে ইউরোপজুড়ে প্রতিবাদগুলো চলছে। সেগুলোয় ইরানের প্রবাসী নারীদের একটি ক্ষুদ্র অংশও হয়তো যোগ দিয়ে থাকতে পারে। অন্যথায় নগ্ন প্রতিবাদকারীদের মোটামুটি শতভাগের কাছাকাছিই পশ্চিমা নাগরিক। তাঁরা ‘ফেমেন’-এর সদস্য।


ফেমেন একটি নারী অধিকারবাদী সংগঠন। জন্ম ২০০৮ সালে ইউক্রেনে। তাদের উদ্দেশ্য নগ্নবক্ষে ও নগ্ন শরীরে প্রতিবাদ জানানো। ইউক্রেনের ‘সেক্স টুরিজম’ ও যৌনকর্মের জন্য ইউক্রেনীয় বালিকাদের ইউরোপে পাচারের বিরোধিতা দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু। দ্রুতই ইউরোপের সব কটি দেশে তাদের শাখা কর্মকাণ্ড চালু হয়। এখন তাদের নগ্ন আন্দোলনের অ্যাজেন্ডায় প্রায় সব রকম দমন-পীড়নবাদী ব্যবস্থার প্রতিবাদই রয়েছে বলে তারা মনে করে। সদস্যরা নিজেদের পরিচয় দেয় ‘সেক্সটিভিস্ট’ হিসেবে। নারীর শরীরকেই পোস্টার হিসেবে ব্যবহার করলে খুব সহজেই বিশ্বদৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। দ্রুত জনমতও তৈরি করা যায়। তাদের এসব আদর্শিক অবস্থান নিয়ে কথা নেই। কিন্তু ইরানের নারীদের আন্দোলনকে সমর্থন দান ও জোরদার করার বেলায় তাদের নিরাভরণ প্রতিবাদ ‘বুমেরাং ইফেক্ট’ তৈরি করেছে।


২০১৪ সালে গবেষক টমাস ডেভিস বিখ্যাত ‘আরব বসন্তসহ’ অন্যান্য গণ-আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ জানতে একটি গবেষণা করেন। গবেষণাটির ফলাফল গ্লোবাল চেঞ্জ, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি জার্নালে প্রকাশিত হয়। তিনি ধরে ধরে দেখালেন বাহরাইন, মিসর, সিরিয়া ও লিবিয়ায় কেন গণ-আন্দোলনগুলো ব্যর্থ হলো এবং ব্যর্থতার পরিণতি কী হলো। ন্যায্য ও ন্যায়সংগত দাবিতে তৈরি হওয়া গণ-আন্দোলনও কেন ব্যর্থ হয়—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওলোংগোংয়ের অধ্যাপক ব্রায়ান মার্টিন অনেকগুলো কেস স্টাডি করেন। দুজনের গবেষণার সিদ্ধান্ত কাছাকাছি। ২০০৭ সালে মার্টিন তাঁর বইটি লিখলেন। শিরোনাম ‘জাস্টিস ইগনাইটেড: ডায়নামিকস অব ব্যাকফায়ার’। তিনি জানালেন, সফল হতে চলা আন্দোলনও দুটি কারণে মুখ থুবড়ে পড়ে। এক, আন্দোলনে ক্ষতিকর কোনো উপাদানকে যদি প্রতিপক্ষ (শাসকেরা) শক্তিশালী ছুতো বা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। দুই. ক্ষতিকর উপাদানের ছুতোটিকে যদি ব্যাপক জনগণের মধ্যে যদি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারে। ভুল বা হঠকারী বিষয়গুলোকে রাজনীতিবিজ্ঞানের অন্যান্য তাত্ত্বিকদের পরিভাষা ধার করে তিনি ‘বুমেরাং ইফেক্ট’, ‘ব্যাকফায়ার ইফেক্ট’, ‘পলিটিক্যাল জিউ-জিৎসু ইফেক্ট’ ইত্যাদি নামে ব্যাখ্যা করেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও