উদ্বেগের মধ্যে আশা ‘বেঙ্গল ওয়াটার মেশিন’

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:১৫

দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার উদ্বেগের মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা নিয়ে স্বস্তির খবর দিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ।


তারা বলছেন, বঙ্গীয় অববাহিকা সংলগ্ন এলাকায় কৃষিকাজের জন্য যে পরিমাণ পানি মাটির নিচ থেকে তোলা হয়, তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যেই।


আর যেসব এলাকায় তা পূরণ হচ্ছে না, সেসব এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে পানিসম্পদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।


ভূ-গর্ভস্থ পানি নিয়ে ১৯৭৫ সালে এক গবেষণায় রজার রিভেল ও ভি লক্ষ্মীনারায়ণ দেখিয়েছিলেন, গঙ্গা অববাহিকার আশেপাশের এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে সেচের জন্য পানি উত্তোলন করায় ভূ-গর্ভের পানির স্তর নেমে যায়। তবে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি খাড়াভাবে মাটির মধ্য দিয়ে নামার ফলে সেই ফাঁকা স্থান পূরণ হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াকে তারা নাম দেন ‘গঙ্গা ওয়াটার মেশিন’।


এখন বঙ্গীয় অববাহিকা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আরেকদল বিশেষজ্ঞ বলছেন, নদীর পাশাপাশি ভূ-উপরিস্থ অন্যান্য উৎস যেমন পুকুর, খাল, মৌসুমী নদী, নালার পানি মাটি হয়ে ভূ-গর্ভের পানিস্তরের শূন্যতা পূরণ করে চলেছে, যেই প্রক্রিয়াকে তারা নাম দিয়েছেন ‘বেঙ্গল ওয়াটার মেশিন (বিডব্লিউএম)’। এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার কারণে কৃষকরা খরা মৌসুমে গভীর ও অগভীর নলকূপ ব্যবহার করে জমিতে সেচ দিলেও দেশের উল্লেখযোগ্য অংশে ভূ-গর্ভস্থ পানির ফাঁকা স্তর ভরাট হচ্ছে দ্রুতই।

গবেষকরা বলছেন, দেশজুড়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১২৫০টি অগভীর পর্যবেক্ষণ কূপের মধ্যে তারা ৪৬৫টি কূপের চার দশকের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন। গবেষণায় নির্বাচিত কূপের এক-তৃতীয়াংশেই (১৫৩টি) বিডব্লিউএমের অস্তিত্ব বা স্বস্তিদায়ক ফল মিলেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও