কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আমরা কি মিয়ানমারকে বুঝতে পারি

প্রথম আলো সাঈদ মাসুদ রেজা প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪৭

আমরা কি মিয়ানমারকে বুঝতে পারি? বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী মোটে দুটি। ইতিহাস আঁতিপাঁতি করে খুঁজলেও বাংলাদেশের এই দুই নিকট প্রতিবেশীর (যথাক্রমে মিয়ানমার ও ভারত) সঙ্গে বাঙালির বড় ধরনের কোনো লড়াই বা অতি দীর্ঘ তিক্ত বিরোধের কোনো ঘটনা পাওয়া যাবে না। এর মানে অবশ্য এই নয়, কোনো বিরোধই নেই। আছে, তবে তা নিম্নমাত্রার, কিছুটা প্রচ্ছন্ন এবং তা সব সময় আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রে থাকে না। রোহিঙ্গা সমস্যা একটি পুরোনো সমস্যা, যা বাংলাদেশকে স্পর্শ করে সত্তরের দশকের মাঝামাঝি। এটা অস্বীকার করা যাবে না যে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা তখনই উঠেপড়ে লাগিনি।


আন্তর্জাতিক সম্পর্কে এমন প্রচ্ছন্ন বা ঢিলেঢালা তৎপরতা, যেকোনো পক্ষ অপর পক্ষের দুর্বলতা হিসেবে ধরে নিতে পারে। দুটি প্রায় সমক্ষমতাসম্পন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে একটি অতি সহিষ্ণু এবং ঢিলেঢালা আচরণ করলে, অপর রাষ্ট্রটি এই অবস্থাকে কীভাবে নিজের স্বার্থে কাজে লাগানো যায়—সেই চিন্তা করবে। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক রাষ্ট্রই প্রতিপক্ষের দুর্বলতা থেকে নিজে লাভ করেছে। এতে যে সব সময় অন্য রাষ্ট্রটির উপকার হয়েছে, তা নয়। সব রাষ্ট্রই আগে নিজের স্বার্থের কথা ভাবে। শুনতে কেমন লাগলেও এটাই হয়ে আসছে।


বাংলাদেশকে ঘিরে মিয়ানমারের তৎপরতা লক্ষ করলে বোঝা যায়, মিয়ানমার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির গতিপ্রকৃতি এবং বাঙালির দুর্বলতাগুলো ভালোভাবেই জানে। বিশেষত, ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কালে সীমান্ত ঘেঁষে তাদের গোলাগুলি এবং মর্টার সেল নিক্ষেপ—সবটাই এই জানা দ্বারা অনুপ্রাণিত বলে আমি মনে করি। তারা জানে এবং তারা বেশ ভালোভাবে অনুমান করতে পারে, ঠিক কোন সময়ে কোন ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটালে আমরা কতটুকু বা কী প্রতিক্রিয়া দেখাব? অথবা কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখাব না। একটি দৃষ্টান্ত দিই। ২০১৭ সালের অক্টোবরে হঠাৎ আরাকানে সামরিক অভিযান শুরু হয়।


লাখো নিপীড়িত রোহিঙ্গা জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাংলাদেশের সীমানার দিকে আসা শুরু করে। বাংলাদেশে আগে থেকেই কয়েক লাখ রোহিঙ্গা ছিল, এমন একটি পরিস্থিতিতে সরকার একদিকে আন্তর্জাতিক জনমত, অন্যদিকে মিয়ানমারের এসব নির্যাতিত মুসলমানের প্রতি দেশের মানুষের গভীর সহানুভূতির কথা স্মরণ করে মানবিক কারণে তাদের প্রায় সবাইকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়। আরেকটি বড় কারণ ছিল ২০১৮-এর নির্বাচন; সেখানে জনমত ধরে রাখারও ব্যাপার ছিল। সময়টা এমন ছিল যে বাংলাদেশ মানবিকতা দেখিয়েছে এবং নানা কারণে সে এটা করতে কিছুটা বাধ্যও হয়ে গিয়েছিল। মিয়ানমারের পরিকল্পনা এবং সময় নির্বাচন প্রায় নিখুঁত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও