কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কর্মপরিকল্পনায় কি ইসির প্রতি আস্থা ফিরবে?

যুগান্তর মুঈদ রহমান প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৪১

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন তাদের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। গত বুধবার নির্বাচন ভবনে মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এ কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেন চারজন নির্বাচন কমিশনার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল অসুস্থতাজনিত কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের নভেম্বরে তফশিল ঘোষণা হতে পারে এবং ডিসেম্বরের শেষদিকে কিংবা পরের বছর জানুয়ারির প্রথমদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কর্মপরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে নির্বাচনি আইন ও বিধি সংস্কারের কাজ চলবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত; নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কাজটি করা হবে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে শুরু করে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত; নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তথ্যসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত; সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত; নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হবে ২০২৩ সালে জানুয়ারি থেকে, চলবে প্রার্থীপদ চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত; ২০২৩ সালের জুন থেকে তফশিল ঘোষণার পর পর্যন্ত চলবে ভোটকেন্দ্র স্থাপন, গেজেট প্রকাশ ও রাজনৈতিক দলের কাছে বিতরণ; আর পর্যবেক্ষক নিবন্ধনের কাজটি হবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত।


নির্বাচন কমিশনের মতে, পাঁচটি লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে আগামী নির্বাচনের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। লক্ষ্যগুলো হলো- এক. অংশগ্রহণমূলক; দুই. স্বচ্ছ; তিন. নিরপেক্ষ; চার. গ্রহণযোগ্য ও পাঁচ. সুষ্ঠু নির্বাচন। কমিশনের লক্ষ্য নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক করার প্রশ্নই আসে না। তবে সত্যিই যদি এ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়, তাহলে আমরা পৃথিবীর তাবৎ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিশীলিত-পরিশ্রুত-পরিমার্জিত এবং উচ্চমার্গীয় গণতান্ত্রিক দেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়ে যাব, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কিন্তু গত ১১টি নির্বাচন যা দিতে পারেনি, তা রাতারাতি পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতি কতখানি আস্থা অর্জন করতে সক্ষম? চলমান রাজনীতির যে জবরদস্তিমূলক সংস্কৃতি তার পরিশোধন ও পরিবর্তন ব্যতিরেকে মাত্র পাঁচজনের নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এমন একটি স্বপ্ন বিনির্মাণ করা মোটেই সম্ভব নয়। তাই মহান লক্ষ্যগুলোর শুরু কমিশনের বলার মধ্য দিয়ে, আর শেষ হলো আমাদের শোনার মধ্য দিয়ে।


নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে ১৪টি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছে। আমরাও মনে করি, এগুলো সত্যিই চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা কমিশনের পক্ষে সম্ভব হবে কি না সে প্রশ্ন তো থেকেই যায়। কিন্তু কমিশন চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবেই চিহ্নিত করতে পেরেছে। চ্যালেঞ্জগুলো হলো- ১. নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি; ২. নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা বিশেষ করে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন; ৩. ব্যবহৃত ইভিএমের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা সৃষ্টি; ৪. অর্থ ও পেশিশক্তির নিয়ন্ত্রণ; ৫. নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা; ৬. সব রাজনৈতিক দল কর্তৃক নির্বাচনি আচরণবিধি অনুসরণ; ৭. নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে বিপক্ষ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সমর্থক, পুলিশ ও প্রশাসন কর্তৃক কোনো রকম বাধার সম্মুখীন না হওয়া; ৮. জালভোট বা ভোটকেন্দ্র দখল বা ব্যালট ছিনতাই রোধ; ৯. প্রার্থী বা এজেন্ট ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে অবাধ আগমন; ১০. ভোটারদের পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি; ১১. নির্বাচনি দায়িত্ব পালনকারী বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান; ১২. পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিতকরণ; ১৩. পর্যাপ্তসংখ্যক নির্বাহী, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিতকরণ এবং ১৪. নিরপেক্ষ দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োজিতকরণ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও