লবণাক্ততা: সুন্দরীর বনে বাড়ছে কাঁকড়া গাছের প্রতাপ
পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন তার নাম পেয়েছে বিশাল অংশজুড়ে সুন্দরী গাছের আধিপত্যের কারণে; গত তিন দশকে নানা কারণে এ গাছের বিস্তৃতি কমে এসেছে; সেই সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে লবণাক্ত সহিংষ্ণু কাঁকড়া গাছের বিস্তার বাড়ার তথ্য এসেছে এক গবেষণায়।
১৯৮৮ থেকে ২০২২ সালের স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে চাঁদপাই রেঞ্জে যেখানে সুন্দরী-গেওয়া গাছ জন্মাত প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর, তিন দশক পরে তা সাড়ে ১২ হাজার হেক্টরে নেমেছে।
এই সময়ের মধ্যে কাঁকড়া গাছ ১৬৫ হেক্টর থেকে বেড়ে প্রায় সোয়া দুই হাজার হেক্টর জায়গা দখল করে নিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে বাস্তুসংস্থানে এমন প্রভাব পড়ছে। সুন্দরবনে লবণাক্ততা বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে সুন্দরীর মতো কয়েকটি প্রজাতিকে টিকে থাকার লড়াইয়ে পড়তে হবে।
বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) বন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহমুদুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জিয়াউল ইসলাম এই গবেষণা করেছেন।
২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পযন্ত ‘ম্যাপিং চেইঞ্জেস ইন দ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ইকোসিস্টেম ইউজিং স্যাটেলাইট সেন্সর ডেটা’ শীর্ষক প্রকল্পের গবেষণায় ‘স্যাটেলাইট সেন্সর ডেটা’ বিশ্লেষণ করেছেন জিয়াউল ও তার সহকর্মীরা।
গবেষণায় চাঁদপাই রেঞ্জের উত্তর পূর্বাংশের ২৭২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার স্যাটেলাইট ছবি ও ডেটা ব্যবহার করে দেখা যায়, সেখানে কাঁকড়া গাছ দ্রুতই সুন্দরী গাছের জায়গা দখল করে নিচ্ছে।