কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ফিজিওথেরাপি শিক্ষা ও সেবার গুরুত্ব

বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ শারীরিক নানা ধরনের ব্যথা, ব্যথাজনিত উপসর্গ ও প্রতিবন্ধিতার শিকার। তাদের সুস্থ, স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম জীবনে ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপি অন্যতম চিকিৎসাসেবা। আর এই ফিজিওথেরাপি পাওয়া তাদের অধিকার।

শারীরিক নানা ব্যথা, দুর্বলতা, প্যারালাইসিসের কারণে মানুষের প্রাত্যহিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। মানুষের কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা কমে যায়। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনের বাইরে এটা জাতীয় উন্নয়নের জন্যও অন্তরায়। শারীরিক কষ্ট শেষ পর্যন্ত ভীষণ মানসিক পীড়ার কারণ হয়। এসব সমস্যার জন্য ফিজিওথেরাপি অন্যতম চিকিৎসা, যা এসব মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করে। আজ ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস। এই দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অস্টিওআর্থ্রাইটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধ—উভয়টিতেই ফিজিওথেরাপি সমান কার্যকর। ’

ফিজিওথেরাপি ছাড়া আধুনিক চিকিৎসা অসম্পূর্ণ

বাংলাদেশে মোট জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ আংশিক বা পুরোপুরি প্রতিবন্ধিতায় ভুগছে। এই ব্যথা ও প্রতিবন্ধিতার প্রধান চিকিৎসাব্যবস্থা ফিজিওথেরাপি। সড়ক দুর্ঘটনা, শারীরিক প্রতিবন্ধিতা, বিকলাঙ্গতা, পক্ষাঘাত এবং বড় কোনো অস্ত্রোপচারের পর রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি ভালো ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি রোগ, বাত ব্যথা ও পক্ষাঘাতের রোগীরা ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি নিয়ে ভালো ফল পান।

অস্টিওআর্থ্রাইটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপি

বিশ্বজুড়ে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত, বাংলাদেশেও এ সমস্যা ঘরে ঘরে। এ রোগ ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে হাঁটুতে হয়ে থাকে। হাড়ের ক্ষয়, পেশির দুর্বলতা, অতিরিক্ত মেদ, বয়স্ক জনগোষ্ঠী এ সমস্যার অন্যতম কারণ। এ ধরনের সমস্যা প্রতিকার ও প্রতিরোধে দ্রুত ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

লং কভিডে ফিজিওথেরাপি

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বাস্থ্য নির্দেশিকায় লং কভিডের জন্য ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পানি পান, ইতিবাচক চিন্তা, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদি পরামর্শ মেনে চলতে বলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলেছে, কভিড-পরবর্তী সময়ে শারীরিক সক্ষমতা ও কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনা এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক দুর্বলতা, ব্যথাজনিত উপসর্গ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকলে ফিজিওথেরাপির ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের দেশে কভিডের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কাটানোর চিকিৎসার জন্য কোনো প্রটোকল এখনো তৈরি হয়নি।

অর্থপেডিক সমস্যা ও ব্যথার রোগীদের জন্য ফিজিওথেরাপি

নানা ধরনের বাত, যেমন—স্পন্ডিলাইটিস, স্পন্ডাইলোসিস, স্পন্ডিলিসথেসিস; অর্থাৎ ঘাড়, কোমর ও মেরুদণ্ডের ব্যথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বেশ কাজে দেয়। পাশাপাশি অস্থিসন্ধির বাত, হাঁটুর ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডার বা কাঁধে ব্যথা এবং পায়ের গোড়ালির সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অপরিহার্য। হাড়ের রোগ অস্টিওপোরোসিস, মাংসপেশির রোগ সারকোপেনিয়াতে ফিজিওথেরাপির বিকল্প নেই।

স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যায় ফিজিওথেরাপি

স্ট্রোক, স্পাইনাল কর্ড ও নার্ভ ইনজুরির কারণে সৃষ্ট প্যারালাইসিস এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার বিকল্প নেই। এ ধরনের সমস্যায় নিউরোলজিক্যাল ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম। আঘাত অথবা শল্যচিকিৎসায় স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতায় ভুগে পঙ্গুত্ববরণ করে অনেকে। এ ধরনের রোগীর শরীর অবশ হয়ে যায় বা মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়। এসব রোগীর শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ানো এবং অস্থিসন্ধি সচল রাখা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে। তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় সক্ষম করে তুলতেও ফিজিওথেরাপির বিকল্প নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন