গান শুনতে শুনতে কি পড়ালেখা হয়

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:২২

মেটালিকার প্রিয় গানটা উঁচু ভলিউমে বাজিয়ে ক্যালকুলাসের হিসাব মেলাচ্ছিলেন জোহায়রা পৃথুলা। হঠাৎ মায়ের চিৎকার, ‘পড়াশোনা হচ্ছে? নাকি গান শোনা?’ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার পর প্রায় চার বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো পৃথুলা বাসায় বোঝাতে পারেননি, গান শুনতে শুনতে পড়লে তাঁর মনোযোগ আরও বাড়ে।


এই মতবাদ পৃথুলার একার নয়। গান শুনতে শুনতে পড়ালেখা ভালো হয়, এমনটা মনে করেন অনেক শিক্ষার্থীই। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয় সিএসইউ গ্লোবালের পক্ষ থেকে ওয়ান পোলের করা একটি গবেষণায় সম্প্রতি এ-ও উঠে এসেছে যে গান শুনতে শুনতে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ তুলনামূলক ভালো! সত্যিই কি তা–ই?


এ নিয়ে কিন্তু আগেও বিস্তর গবেষণা হয়েছে। মনোবিজ্ঞানী ফ্রান্সিস রাউশার ১৯৯৩ সালে ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করেন। তাঁদের ১০ মিনিট মোজার্টের পিয়ানো সোনাটা শোনানোর পর যুক্তিবিদ্যার একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। আরেক দলের একই পরীক্ষা নেওয়া হয় ১০ মিনিট নীরবতার পর। দেখা যায় একই পরীক্ষায় মোজার্ট শোনা দলটি অন্য দলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো করেছে। সেই থেকে ‘মোজার্ট এফেক্ট’ কথাটির চল হয়। মোজার্ট এফেক্ট দাবি করে—ক্ল্যাসিক্যাল সংগীত শুনলে মানুষের যুক্তিবিদ্যার দক্ষতা বেড়ে যায়।


তবে শুধু যে ভালো দিকই আছে, তা নয়। অস্ট্রেলিয়ার ওলংগং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা যায়, গানের মধ্যে কথা থাকলে তা মনোযোগ নষ্ট করে। কারণ, পড়াশোনার সময় আমরা আমাদের ‘কার্যকর স্মৃতি’ ব্যবহার করি। একই সময়ে আমাদের মাথায় হাজারটা তথ্যের টুকরো খেলাধুলো করে। পড়াশোনা এমন একটা কাজ, যেখানে তীব্র মনোযোগ প্রয়োজন। সেটার সঙ্গে গান শোনা হলে গানের কথা এই ‘কার্যকর স্মৃতি’কে কিছুটা দমিয়ে দিতে পারে। ফলে কমে যায় মস্তিষ্কের অনুধাবন ও ধারণক্ষমতা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও