কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় বাংলাদেশের

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩:৫৪

বাঁচামরার ম্যাচ, হারলেই বাদ। এমন এক ম্যাচে লড়াই হলো সেয়ানে সেয়ানে। একবার ম্যাচ হেলে পড়ছিল বাংলাদেশের দিকে, একবার শ্রীলঙ্কার দিকে।


টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই হলো। যাতে স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার কাছে ২ উইকেটে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় হয়ে গেছে টাইগারদের।


বোর্ডে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ। দারুণ সুযোগ ছিল শুরুতেই লঙ্কানদের চেপে ধরার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সুযোগ তৈরি করেছিলেন তাসকিন আহমেদ।


তাসকিনের ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিস ড্রাইভ করলে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটা গ্লাভসে পেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু ধরে রাখতে পারেননি।


২ রানে জীবন পেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠেন কুশল। পঞ্চম ওভারে সাকিবকে দুই ছক্কা আর একটি বাউন্ডারি হাঁকান। ৫ ওভারেই বিনা উইকেটে ৪৪ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা।


ষষ্ঠ ওভারে অভিষিক্ত এবাদত হোসেনকে বোলিংয়ে আনেন সাকিব। নিজের তৃতীয় বলেই দলকে সাফল্য এনে দেন ডানহাতি এই পেসার। তার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে পাথুম নিশাঙ্কা মিডউইকেটে ক্যাচ দেন মোস্তাফিজকে।


তিন বল পর আরও এক উইকেট। এবার চারিথ আসালাঙ্কাকে (১) মিডঅফে ক্যাচ বানান অভিষিক্ত এবাদত। বিনা উইকেটে ৪৫ থেকে ২ উইকেটে ৪৮ রানে পরিণত হয় শ্রীলঙ্কা।


সপ্তম ওভারে কুশল আরেকবার জীবন পান। শেখ মেহেদির বলে উইকেটরক্ষক মুশফিক ক্যাচ নিলে সাজঘরে ফিরছিলেন লঙ্কান এই ব্যাটার। কিন্তু আম্পায়ার তাকে দাঁড়াতে বলেন। ‌‘নো’ বল চেক করে দেখা যায়, ওভারস্টেপিং করেছেন মেহেদি।


পরের ওভারে আবারও এবাদতের আঘাত। এবার গুনাথিলাকা (১১) পুল করলে ফাইন লেগ থেকে প্রায় ২০ মিটার দৌড়ে এসে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন তাসকিন।


দুই বল পর তৃতীয়বারের মতো জীবন পান কুশল। এবার তিনি এবাদতকে ‍পুল করলে লেগ দিয়ে বল চলে গিয়েছিল উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে। আবেদনও হয়েছিল।


কিন্তু আম্পায়ার সে আবেদন নাকচ করে দেন। বাংলাদেশি ফিল্ডাররাও বুঝতে পারেননি বল ব্যাটে স্পর্শ লেগেছে কিনা। পরে স্নিকোমিটারে দেখা যায়, বল ব্যাটে লেগেই গেছে মুশফিকের হাতে।


নবম ওভারে তাসকিন এসে আউট করেন ভানুকা রাজাপাকসেকে। টাইগার পেসারের শর্ট বল তুলে মারতে গিয়ে থার্ডম্যানে বদলি ফিল্ডার নাইম শেখের ক্যাচ হন রাজাপাকসে (২)।


তাসকিনের করা একাদশতম ওভারে চতুর্থবারের মতো জীবন পান কুশল মেন্ডিস। ননস্ট্রাইকের এন্ডে তিনি অনেকটা বেরিয়ে গেলে থ্রো করেন সাব্বির রহমান। একটুর জন্য স্টাম্প ভাঙেনি।


এতবার জীবন পেয়ে ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন কুশল। পঞ্চম উইকেটে দাসুন শানাকার সঙ্গে ৩৫ বলে ৫৪ রানের জুটিতে ম্যাচ অনেকটাই নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন এই ব্যাটার।


অবশেষে ১৫তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান ফেরান কুশলকে। তার স্লোয়ার অফকাটার থার্ডম্যানে তুলে দেন এই ব্যাটার, তাসকিন নেন আরেকটি দুর্দান্ত ক্যাচ। ৩৭ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় কুশলের ইনিংসটি ছিল ৬০ রানের।


পরের ওভারে তাসকিনের আঘাত। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (২) জায়গা করে কভারের ওপর দিয়ে মারতে যান, হন শেখ মেহেদির ক্যাচ। ৮ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।


কাঁটা হয়ে ছিলেন কেবল দাসুন শাকা। লঙ্কান অধিনায়ক খেলছিলেনও মারমুখী। অবশেষে শেখ মেহেদির করা ১৮তম ওভারে লংঅনে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন শানাকা (৩৩ বলে ৪৫)। বাংলাদেশও বাঁচে হাঁফ ছেড়ে।


এর আগে সংযুুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান তোলে সাকিব আল হাসানের দল।


ওপেনিংটা ক্লিক করছে না। বাংলাদেশ তাই আজ বাঁচামরার ম্যাচে একসঙ্গে দুই ওপেনার বদলে ফেলেছে। নাইম শেখ আর এনামুল বিজয়ের বদলে ওপেনিংয়ে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ আর সাব্বির রহমান।


কেমন হলো ওপেনিং জুটি? দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খুব খারাপ ছিল না। তবে ১৯ রানেই ভেঙে গেছে সাব্বির-মিরাজের জুটি।


দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন সাব্বির রহমান। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওপেনিং খেলতে নেমেছিলেন। তবে সুবিধা করতে পারেননি।
৬ বলে ৫ রান করে আসিথা ফার্নান্ডোকে পুল করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন সাব্বির।


ওয়ানডেতে এর আগেও ওপেন করে সফল হয়েছেন মিরাজ। তবে টি-টোয়েন্টিতে আজই প্রথম। অফস্পিনিং এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে টিম ম্যানেজম্যান্টের বাজি এবারও কাজে দিলো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও