‘অবহেলা’য় ধুঁকছে ৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ের ফ্লাইওভার

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২২, ০৮:১৪

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও ব্যবসাকেন্দ্র ভুলতা। মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। ফলে ভুলতায় যানজটের সৃষ্টি হয়ে অচল হয়ে পড়তো সড়ক, এতে দেখা দিতো জনদুর্ভোগ, ক্ষতির মুখে পড়তো এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য। এসব সমস্যা দূরীকরণে ও যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় ৬৩১ দশমিক ১৬ মিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্লাইভারটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২০ সালের জুন মাসে।


সাধারণত একটি ফ্লাইওভার যেন শত বছর ব্যবহার করা যায়, সেভাবে নির্মাণ করা হয়। ফ্লাইওভারে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ওজনের গাড়ি যেন না ওঠে সেজন্য রাখা হয় এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র । কিন্তু ভুলতা ফ্লাইওভারে গুরুত্বপূর্ণ এই যন্ত্রটিই বসানো হয়নি। ফলে এই ফ্লাইওভারটি দিয়ে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলছে হরদম, তাতে এই অবকাঠামো হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত, কমছে এর আয়ুষ্কাল।


পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে ভুলতা ফ্লাইওভার নির্মাণে এই অসংলগ্নতার কথা। ‘ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের ভুলতায় চার লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প’র প্রভাব মূল্যায়ন শীর্ষক ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে দ্রুত এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক বছর না যেতেই ঝুঁকিতে পড়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভারটি। অতিরিক্ত ওজনধারী যানবাহন চলাচলের ফলে ফ্লাইওভারে বক্স গার্ডারের নিচে স্থাপিত বিয়ারিং প্যাড এবং স্প্যানের সংযোগস্থলে স্থাপিত এক্সপানসন জয়েন্ট দ্রুত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ফ্লাইওভারটির ব্যবহার দীর্ঘ এবং ঝুঁকিমুক্ত রাখতে অতিরিক্ত ওজনধারী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এতে দ্রুত এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসাতে হবে।


প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফ্লাইওভারটির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দেওয়ালে আগাছা জন্মেছে। নষ্ট হয়েছে অনেক লাইট। পানি অপসারণের পাইপগুলোও ভেঙে গেছে। ফ্লাইওভারের কার্যকারিতা দীর্ঘায়িত এবং সুষ্ঠু করতে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। এক্সপানসন জয়েন্ট বিয়ারিং প্যাড নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। সময়ের সঙ্গে অবকাঠামো কার্যকর রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে ক্ষতিগ্রস্ত বা সমস্যাপূর্ণ অংশ জরুরি মেরামত করা গুরুত্বপূর্ণ।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও