বিএনপির সঙ্গে রাজপথে থাকার অঙ্গীকার ২০ দলীয় জোটের
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে বিএনপির সঙ্গে রাজপথে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন, ‘সরকারের দুর্নীতি-লুটপাট-দুঃশাসনে মানুষ আজ অতিষ্ঠ। তাই দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে এই সরকারকে বিদায় করার কোনো বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধ জনসম্পৃক্ত আন্দোলনে এদের বিদায় করতে হবে।’
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ২০ দলীয় জোট শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে এক মানববন্ধনে জোট নেতারা এসব কথা বলেন। লোডশেডিং এবং জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম-মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জাগপার একাংশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফখরুজ্জামান, তোতা মিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
আহসান হাবিব লিংকন বলেন, দেশে জ্বলানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। এর ফলে মধ্যবিত্ত নিম্ন-মধ্যবিত্ত নিঃস্ব-দরিদ্র হয়ে গেছে। এছাড়া সরকারের দুর্নীতি-লুটপাটে মানুষ অতিষ্ঠ। সংকট উত্তোরণে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন।
মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ক্ষমতাসীনরা আগামী নির্বাচনে ইসিকে দিয়ে ১৫০ আসন নিশ্চিত করে ফেলেছে। তাই আমাদের একটিই দাবি হওয়া উচিত, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’
সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘এই সরকারের দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে জনগণকে জেগে উঠতে হবে, প্রতিবাদে সরব হতে হবে। সরকারকে বিদায় করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামতে হবে।’