লকডাউনের কারণে যক্ষ্মা নির্ণয় ব্যাহত হয়েছে: গবেষণা
কোভিড-১৯-এর কারণে যক্ষ্মা স্ক্রিনিং উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়েছে বলে গবেষণায় জানা গেছে। এছাড়া সেবাগ্রহীতাদের জন্য লকডাউনের কারণে সৃষ্ট পরিবহন সংকট এবং করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির বিষয়কে প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এই জরিপে। অপরদিকে, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবাদানকারীর অভাব, কাজের চাপ বৃদ্ধি এবং কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়গুলো স্বাস্থ্যসেবাদানকারীদের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয় বলেও জানা যায়।
ঢাকার নির্দিষ্ট এলাকায় ফুসফুসীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ পরিষেবার ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব বিষয়ক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন ডা. ফারিহা আলম মিহিকা। তিনি ছয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবাদানকারী ও যক্ষ্মা রোগীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়সীমার মধ্যে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে একটি ক্রস-সেকশনাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে আইসিডিডিআর,বি পরিচালিত ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) অ্যালায়েন্স ফর কমব্যাটিং টিবি ইন বাংলাদেশ (এসিটিবি) কার্যক্রম আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে আজ ফেলো গবেষকরা তাদের যক্ষ্মা বিষয়ক গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। ইউএসএআইডি’র জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মিরান্ডা বেকমেন, আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ ও সিনিয়র ডিরেক্টর ড. ফেরদৌস কাদরী।
গবেষক ডা. আজিজুর রহমান শারাক ঢাকায় বসবাসকারী ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ওষুধ সংবেদনশীল এবং ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাবের ওপর তার গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। নভেম্বর ২০২০ থেকে অক্টোবর ২০২১ সালের মধ্যে পরিচালিত এই ক্রস-সেকশনাল পদ্ধতির গবেষণায় তিনি ঢাকায় ৯৩ জন ওষুধ-প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীর পরিবারের মোট ৩৫৫ জন সদস্যের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। গবেষণায় পাওয়া যায়, ৯ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারের সদস্যদের যক্ষ্মার লক্ষণ ছিল এবং পরবর্তীকালে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ জনের যক্ষ্মা ধরা পড়ে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- রোগ নির্ণয়
- ব্যহত
- যক্ষ্মা রোগ