কোনো সরকারের অধীনে আর নির্বাচন নয়, হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে: রহমান
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘আপনারা (বিএনপি) বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক ও নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আপনারা নির্বাচনে যাবেন না। নির্বাচন বানচাল করার জন্য হুংকার দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের জন্য রাজপথে আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন। এই হুংকার দিয়ে লাভ নেই। সেই শক্তি আপনাদের (বিএনপি) আর নেই। মনে রাখবেন, পেছনের দরজা এবং অন্ধকার গলিপথ দিয়ে ক্ষমতায় আসার সুযোগ আর হবে না।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সব শহিদদের স্মরণে বৃহস্পতিবার ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘কোনো সরকারের অধীনে আর কোনোদিন নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গ্রহণে কমিশন সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আর নির্বাচনকালীন সময়ে দৈনন্দিন রুটিন কাজ করার জন্য সরকারের প্রধান থাকবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সেই নির্বাচনে আপনারা (বিএনপি) নাও আসতে পারেন। কিন্তু হুংকার দিয়ে লাভ নেই। আপাতত নিজেদের ঘরের দিকে তাকান। আপনাদের নিজেদের ঘরেই তো আগুন লেগেছে।’
বিএনপির নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, ‘মানুষ কত অমানুষ হতে পারে? বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখপ্রকাশ ও নিন্দা প্রকাশ তো দূরে থাক, তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যা নিয়ে সব সময় কৌশলী বক্তব্য দেন। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের দায়-দায়িত্ব খুনি জিয়াউর রহমান এড়াতে পারবে না। এই খুনের মদদ দেওয়া এবং নেপথ্যে কলকাঠি কিন্তু জিয়াউর রহমানই নেড়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিষয়ে জিয়াউর রহমান আগে থেকে জানতেন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের ফাঁসি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। পিতা হত্যার বিচার করেছেন। কিন্তু আজ বাংলার মানুষ খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার চায় এবং এই বিচার করতে হবে।’
আব্দুর রহমান আরও বলেন, ‘তারেক জিয়া পলাতক আসামি। এই তারেক জিয়া বিদেশে বসে বলে, ৭৫’এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। ওই তারেক রহমানকে বলতে চাই, আপনার বাবার (জিয়াউর রহমান) লাশের চিহ্ন কিন্তু পাওয়া গিয়েছিল না। সেদিন কিন্তু সংসদ ভবনের সামনে বাক্সবন্দি লাশের নামে পতেঙ্গার চারটি পঁচা তরমুজ ছিল। এই তারেক জিয়ার অবস্থা একদিন তার বাবার মতোই হবে। কেউ তাকে রক্ষা করতে পারবে না। এটা হবে ইতিহাসের বদলা।’