কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছর!

বাংলা ট্রিবিউন ড. রাহমান নাসির উদ্দিন প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২২, ১৬:০০

আজ রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছর পূর্তি। আমি প্রতি বছর আগস্টের ২৫ তারিখ বাংলা ট্রিবিউনে রোহিঙ্গা ঢলের বছরপূর্তি উপলক্ষে একটি নিবন্ধ লিখি এবং সেখানে বিগত বছরগুলোর সূত্র ধরে গত এক বছরের প্রধান এবং উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর একটি বিশ্লেষণ দাঁড় করাই। পাশাপাশি কোন কোন বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেওয়া জরুরি বলে আমি মনে করি, সেগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিয়ে থাকি।


এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আমরা যখন রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছর লিখি, তার অর্থ এ নয় যে, কেবল পাঁচ বছর আগেই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে শরণার্থী হিসাবে রোহিঙ্গারা প্রথম প্রবেশ করে ১৯৭৮ সালে। দ্বিতীয় দফা প্রবেশ করে ১৯৯১-৯২ সালে। তৃতীয় দফা প্রবেশ করে ২০১৬ সালে। সর্বশেষ মোটাদাগে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে ২০১৭ সালে। এবং ২০১৭ সালে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ কারণেই বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশের ঢল নামে মূলত ২০১৭ সালে। সে হিসাব অনুযায়ী আজ রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছর পূর্তি কারণ ২০১৭ সালের আগস্টের ২৫ তারিখ লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জেনোসাইড থেকে নিজেদের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২৫ আগস্ট থেকে প্রায় দুইমাস এ ঢল অব্যাহত ছিল। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ, অমানবিক নির্যাতন এবং গণহারে অগ্নিসংযোগ থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা কোনোরকম ‘জানটা’ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।


জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যা ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত হয়, ২৫ আগস্ট থেকে প্রথম দুই মাসে কমেবেশি ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়; প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা নিজেদের ঘরবাড়ি ফেলে বাংলাদেশে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় গ্রহণ করে; প্রায় ১৯০০ নারী ধর্ষণের শিকার হয়, এবং প্রায় ৪ শত গ্রাম পুরোপুরি বা আংশিকভাবে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়। তাই, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী রোহিঙ্গারা ২৫ আগস্টকে ‘জেনোসাইড স্মরণ দিবস’ (জেনোসাইড রিমেম্বারাস ডে) হিসাবে পালন করে। এবছরও বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী এবং রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্টরা আজ ‘জেনোসাইড স্মরণ দিবস’ পালন করছে।


গত এক বছরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে মোটাদাগে পাঁচটি: মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড, সিক্স মার্ডার, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা, ভাসানচরে জাতিসংঘের নতুন করে সম্পৃক্ততা এবং আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের করা আপত্তি খারিজ। এর বাইরেও সারা বছর জুড়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে নানান খবর মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে।


গত বছর রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিশ্বব্যাপী বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’-এর প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে মহিবুল্লাহর একটা খ্যাতি এবং গ্রহণযোগ্যতা ছিল দেশে এবং বিদেশে। তাছাড়া, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সহযোগী হিসাবেও তার একটা পরিচিতি ছিল। রোহিঙ্গা নেতা হিসাবে মহিবুল্লাহ পাদপ্রদীপের আলোয় আসে ২০১৯ সালে যখন রোহিঙ্গা জেনোসাইডের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে উখিয়ার শরণার্থী শিবিরে প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গার জমায়েত হয় মহিবুল্লাহর নেতৃত্বে। তাছাড়াও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পাওয়া এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি হিসাবে আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া প্রভৃতি মহিবুল্লাহর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতার স্বাক্ষ্য বহন করে। ফলে, ২০২১ সালে সেপ্টেম্বরের ২৯ তারিখ যখন মহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়, তখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এর বিপুল কাভারেজ দেওয়া হয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে যথাযথ বিচার দাবি করে বিবৃতি প্রদান করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও