জনশুমারি–উত্তর যাচাই হোক স্বাধীন ও নিরপেক্ষ

প্রথম আলো ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২২, ১৬:৩৪

দেশের সব ব্যক্তির জনমিতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক তথ্য সংগ্রহ, সংকলন ও প্রকাশের সার্বিক প্রক্রিয়াই হলো জনশুমারি। শুমারির সঠিক উপাত্তের ভিত্তিতে পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও সম্পদের সুষম বণ্টন করতে হয়।


এ প্রেক্ষাপটে দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রথম ডিজিটাল শুমারির তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম গত ১৫ থেকে ২১ জুন দেশব্যাপী পরিচালিত হয়; যদিও এ শুমারি হওয়ার কথা ছিল দেড় বছর আগেই। তবে শুমারিকালে আকস্মিক বন্যার কারণে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও নেত্রকোনা জেলায় তথ্য সংগ্রহের সময়সীমা ২৮ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।


বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ডিজিটাল ডিভাইস (ট্যাবলেট ব্যবহার করে কম্পিউটারের সহায়তায় ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার-ক্যাপি পদ্ধতিতে) ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করে এবং দ্রুততম সময়ে (শুমারি–পরবর্তী এক মাসের মধ্যেই) গত ২৭ জুলাই ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রাথমিক প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে।


প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ শুমারির বিভিন্ন তথ্য নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ও উদ্বেগ বিভিন্ন প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়াতে লক্ষ করা যায়। শুমারির কাজটি বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হয়। লক্ষণীয়, কোনো শুমারিই শতভাগ নির্ভুল বলে দাবি করা যায় না। ফলে কী ধরনের এবং কী পরিমাণ ভ্রান্তি ঘটেছে, তা নিরূপণ করার প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি রয়েছে, যা জাতিসংঘের নির্দেশিত গাইডলাইন অনুযায়ী স্বাধীন-নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান দ্বারা জনশুমারি-উত্তর যাচাইকাজ সম্পাদন, প্রতিবেদন প্রকাশ এবং পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হয়।


শুমারিতে সাধারণত দুই ধরনের ভ্রান্তি আমরা লক্ষ করতে পারি—কাভারেজ ইরোর ও কনটেন্ট ইরোর। কাভারেজ ইরোরের ক্ষেত্রে কী পরিমাণ মানুষ জনশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি, বাদ পড়েছে বা দ্বৈত গণনায় এসেছে, তা নির্ধারণ করতে হয়। আর কনটেন্ট ইরোর ঘটে ব্যক্তি, খানা ও হাউজিং ইউনিটের বৈশিষ্ট্যগত অসম্পূর্ণ তথ্যের সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে যেসব ভ্রান্তি ঘটে, তা হলো বাদ পড়া, দ্বৈত গণনায় আসা, ভুল অন্তর্ভুক্তি, গ্রস ত্রুটি ও নিট ত্রুটি। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের শুমারিতে নিট ত্রুটির হার ছিল ৪ দশমিক ৯৮, আর ২০১১ ছিল ৩ দশমিক ৯৮। ২০২২ সালের শুমারিতে কী পরিমাণ ভ্রান্তি ঘটেছে, তা প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশের পর জনশুমারি-উত্তর যাচাই বা নির্ধারণ করে তা সংশোধিত আকারে জনসংখ্যার আকার প্রকাশ করতে হবে। ফলে কী পরিমাণ ভ্রান্তি হয়েছে, তা নির্ধারণ করা এখন অত্যন্ত জরুরি।


তবে এবারের শুমারিতে অতীতের চেয়ে বেশি ভ্রান্তি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না, এ নিয়ে বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। কেননা এবারের শুমারি বর্ষাকালে করা হয়েছে। বর্ষাকালে তথ্য সংগ্রহকারীরা দুর্গম এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীর প্রকৃত তথ্য জনশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত করতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে থাকতে পারেন। তা ছাড়া শুমারি চলাকালে সিলেট ও উত্তরাঞ্চল বন্যাকবলিত ছিল।


কোথাও কোথাও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের ব্যাপার ছিল; যেমন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ কারণে শুমারি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে ওই সব অঞ্চলে। এসব এলাকায় সব মানুষ ও গৃহগণনায় অন্তর্ভুক্তি কঠিন। বন্যাকবলিত এলাকায় খানার গণনা ও খানার বৈশিষ্ট্যসংক্রান্ত তথ্য কীভাবে নির্ভুল পাওয়া যাবে, যেখানে ঘরবাড়ি পানিতে ভেসে গেছে? তাই এ সময়কে পরিহার করতে পারলে ভালো হতো। তথ্য সংগ্রহকারীরা সব এলাকায় সঠিকভাবে গণনার কাজটি করেছে কি? শুমারি প্রশ্নমালায় ৩৫টি প্রশ্ন সবাইকে করা হয়েছে কি?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও