যুক্তরাষ্ট্রে ফুটপাতে যুবককে ঠেসে ধরে লাথি-ঘুষি পুলিশের
যুক্তরাষ্ট্রে আবারও ভাইরাল হয়েছে পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায় ফুটপাতের ওপর ফেলে রান্ডাল ওরচেস্টার (২৭) নামে এক যুবককে ঠেসে ধরে লাথি-ঘুষি মারছেন তিন পুলিশ। ভুক্তভোগী ওই যুবক সাউথ ক্যারোলিনার গুজ ক্রিকের বাসিন্দা।
গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের আরাকানসাস অঙ্গরাজ্যের মার্লবেরি শহরে এ ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার এ ঘটনায় ৩ পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গ্রেপ্তারের সময় তিন পুলিশকর্মী নৃশংসভাবে মারধর করেন অভিযুক্ত ওই যুবককে। অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে দুই জন জন ক্রফোর্ড কাউন্টি শেরিফের বাহিনীর এবং অন্য জন মার্লবেরি শহর পুলিশ বিভাগের কর্মী।
ক্রফোর্ড কাউন্টি শেরিফের দপ্তর থেকে জানায়, আরাকানসাসের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরকানসাসের গভর্নর অ্যাসা হাচিনসন এবং মার্লবেরির মেয়র গ্যারি ব্যাক্সটর জানান, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে, দষীরা কেউ রেহাই পাবে না।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ মে জাল নোট ব্যবহারের অভিযোগ এনে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা জর্জ ফ্লয়েডকে আটক করে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের পুলিশ। আটকের পর ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে সড়কে চেপে ধরেন চৌভিন। এ সময় ফ্লয়েড বলতে থাকেন, দয়া করুন, আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না। আমাকে মারবেন না।
এক পথচারী ওই সময় ফ্লয়েডকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ফ্লয়েডকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জর্জ ফ্লয়েড মিনিয়াপোলিস শহরের একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
এ হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশি নির্মমতা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনের সময় বিভিন্ন স্থানে লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। এ ছাড়া পরবর্তীকালে এ আন্দোলন ও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।