কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিএনপি গ্রেনেড হামলার দায়দায়িত্ব কখনো অস্বীকার করেনি

দেশ রূপান্তর মতিয়া চৌধুরী প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২২, ০৯:১১

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ জননেতা মতিয়া চৌধুরী দেশের অন্যতম সফল কৃষিমন্ত্রী। ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তিনি। ঊনসত্তরের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের এক উজ্জ্বল নাম মতিয়া চৌধুরী। রাজনৈতিক জীবন নিয়ে লেখা তার বইয়ের নাম‘দেয়াল দিয়ে ঘেরা বই’। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিনেও তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সভাস্থলে ছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ভয়াবহ এই রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে দেশ রূপান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন ‘অগ্নিকন্যা’ খ্যাত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরী। 


মতিয়া চৌধুরী : আজ সেই বিভীষিকাময় রক্তাক্ত ২১ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। একটি নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার ১৮তম বার্ষিকী। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের এই দিনে ঢাকায় আওয়ামী লীগের আয়োজনে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোটের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের প্রতিবাদে মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে চালানো হয়েছিল এই নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞ। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করেছিল শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে। এতে আক্রান্ত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। হামলার ধরন ও লক্ষ্যস্থল থেকে এটা স্পষ্ট যে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করাই ছিল ওই গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণের উদ্দেশ্য।


সবই স্পষ্ট মনে আছে। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কের একপাশে ট্রাকের ওপর মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য তখনকার অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে মিছিল সহকারে হাজার হাজার নেতাকর্মী আসতে শুরু করল। মঞ্চে কেন্দ্রীয় ও জাতীয় নেতারা উপস্থিত হন। ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ হলেও ২১ আগস্টের ওই দিন বক্তৃতার চেয়ে মিছিলটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। চলছিল কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য। বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে মিছিলে অংশ নেব বলে ট্রাকমঞ্চ থেকে নেমে (প্রয়াত) আইভী রহমানের (আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক) সঙ্গে গিয়ে দাঁড়াই। তখন আইভী আমার হাত ধরে বলল, আজ আপনি মেয়েদের সঙ্গে মিছিলে যাবেন। আমি কিছু না বলে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে মিছিল ধরতে সোনালী ব্যাংকের কাছে গিয়ে দাঁড়াব বলে ভাবছি। আমি জানি আগের একটি দুর্ঘটনায় আইভীর পায়ে ফ্র্যাকচার আছে, আইভীর জন্য মিছিলে হাঁটা কষ্টকর হবে। কিন্তু তখন তো আর জানি না যে, সামনে এরকম জম অপেক্ষা করছিল সবার জন্য।


কিন্তু মিটিং যখন শেষ হয়ে আসছে তখন আমি বললাম যে, ‘আইভি আমি তো মিছিলে যাব কিন্তু তোমাকে খুব স্পিডে হাঁটতে হবে।’ আমি আবার বললাম যে, ‘মিছিল শুরু হওয়ার আগে তোমাকে সরে আসতে হবে। তুমি তো এভাবে হাঁটতে পারবে না।’ এই বলে আমি সোনালী ব্যাংকের কাছে যাব বলে প্রস্তুতি নিয়েছি। এই সময়, মানে কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছেছি এমন সময় পুচ পুচ করে কয়েকটা শব্দ! মনে হয়েছে ককটেলের শব্দ।


গ্রেনেডের যে শব্দ, সেই শব্দের সঙ্গে আগে তো কোনোদিন ওইভাবে পরিচিত ছিলাম না। আর মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ট্রেনিং নিয়েছিলাম সেটাও তো অনেক বছর কেটে গেল। তো প্রথমে ককটেল ফোটার মতো চার পাঁচটা শব্দ হলো। তাও আমি সামনের দিকে এগুতে গেলাম। তখন এক লোক আমাকে পেছন থেকে হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দিল, টান দিয়ে নিয়ে গেল, হয়তো কোনো কর্মী হবে আমাদের। বলল আপনি কোথায় যাচ্ছেন? আমি চেয়েছিলাম যেদিক থেকে শব্দ আসছে সেদিকে যাব। তারপর যাই হোক, নেত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে তারা গ্রেনেড মারে, গুলিও করে।


নিরাপত্তারক্ষী আর দলীয় নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে পেরেছিল। তারা শেখ হাসিনাকে ঘিরে রেখে মঞ্চ থেকে নামিয়ে গাড়িতে ওঠায়। গাড়িতে ওঠানোর সময়ও কিন্তু গুলি করেছিল। কিন্তু যেহেতু নেত্রীর বুলেট প্রুফ গাড়ি ছিল তাই তিনি বেঁচে যান। আক্রমণকারীরা সেদিন নেত্রীকে একেবারে শেষ করার প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিল। গুলিতে নেত্রীর গাড়ির চাকাও পাংচার হয়ে যায়। সেই গাড়ি নিয়েই সুধা সদনের দিকে রওনা হয়ে যান তিনি। এরপর আমরা ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে এলাম। বঙ্গবন্ধু এভিনিউর যে বীভৎস দৃশ্য দেখলাম সেসব এখনো মনে পড়লে মনে হয় এই ধরনের দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা যেন শত্রুরও না হয়। সেদিন গ্রেনেডের আঘাতে আইভী রহমানসহ মোট ২৩  জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও